পরিসংখ্যান দেখে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ধারনা হয়েছিলো, চোখে দেখে দেশটির উন্নতি নিয়ে আগের চেয়ে বেশি আশাবাদী ডক্টর কৌশিক বসু। বিশ্বব্যাংকের এই প্রধান অর্থনীতিবিদ ৫ দিনের সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অন্যের কথা শুনে নয়, এদেশের মানুষের বিশ্বাস করা উচিত যে তারা ঈর্ষনীয় উন্নতি করেছে। দেশীয় বিশ্লেষকদের নেতিবাচক সমালোচনা প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, এটা যেনো বেশিমাত্রায় না হয়।
সফরের শেষ দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছিলো ড. কৌশিক বসুর সংবাদ সম্মেলন। সম্ভাবনাময় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটু-আধটু খোজ খবর রাখেন উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হওয়ায় এতোদিন তথ্য-উপাত্ত দেখে আর অন্যের মানুষের মুখে শুনে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ধারনা ছিলো তার। এবার চোখে যা দেখলেন, তার কথাতেই তা অবিশ্বাস্য।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডক্টর কৌশিক বসু বলেন,‘ আজকে যা চোখে দেখে এলাম তা বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক মনে হলো। এখন এদেশের মানুষের একধরণের উচ্চাশা করার অধিকারবোধ চলে এসেছে। সাধারণ মানুষের বুঝে নেয়া দরকার যে এখন দ্রুত অবস্থার উন্নতির সময়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সঙ্গে জনগণের এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে এটাও বুঝতে হবে সাধারণ মানুষকে।
দেশের মধ্যে এতো হতাশার বিপরীতে বাংলাদেশ নিয়ে কেনো উচ্চাশা, পাশের দেশের এই কীর্তিমান অর্থনীতিবিদের প্রশ্ন ছিলো গণমাধ্যমকর্মীদের। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপোড়েন নিয়েও কথা বলেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ পদ্মা সেতু তৈরি করছে, পেছনের কথা কোনো বিষয়ই নয়। এদেশের ক্ষেত্রে এটা একটা বিরাট সুখবর। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ পদ্মাসেতু করছে এতে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে এখন এক পরিণত বাংলাদেশের সম্পর্ক সূচিত হলো। এখন অংশীদারিত্বের সুযোগ আরও বেড়েছে। ইতিহাস ভালো না হলেও ফলাফল অত্যন্ত ইতবাচক এসেছে। দশ বছর আগেও এটা ভাবা যেতো না’।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডক্টর কৌশিক বসু মনে করেন ৫০ এর দশকেও মানুষ বিশ্বাস করতো না যে সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, কোরিয়া এতো উন্নত হয়ে যাবে। আজ এটা চূড়ান্ত বাস্তবতা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন ম্যাজিক ঘটবে আশা তার।