পৌর নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১০টি পৌরসভায় জমজমাট নির্বাচনী প্রচার চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় রাউজান পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে। রাউজান এক সময়ের সন্ত্রাস কবলিত জনপদ হলেও চট্টগ্রামের উত্তর জেলার পৌরসভাটি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত।
এবারও মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন গত পৌর নির্বাচনে জয়ী কাজী আল হাসান। বিএনপি সমর্থীত এ প্রার্থী বলেন, ভোটাররা একটা কথা বার বার বলছে; আমরা ভোট দিতে পারবো তো? আমি আশাকরি, ভোটার যদি ঠিকভাবে ভোট দিতে পারে এবং নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে পায়, তবে আমরা জয়ের বিষয়ে আশাবাদি।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দেবাশীষ পালিত হলেও স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়রের ছেলে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী। একদিকে যেমন আওয়ামী লীগ প্রার্থী যখন দলীয় প্রতীকে ভোট চাইছেন; অন্যদিকে তখন দল থেকে পদত্যাগ করে পৌর নাগরিক কমিটির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রানা কাজে লাগাতে চাচ্ছেন তাদের পারিবারিক ইমেজকে।
বিদ্রোহী এ প্রার্থী বলেন, আমি দল ত্যাগ করে ভোট করার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। সেটা আমার বয়সের জন্যও নিতে প্রস্তুত।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী দেবাশীষ পালিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী জরিপ চালিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আর নৌকা প্রতীকের ভোটে কেউ ভাগ বসাতে পারবে না।
চট্টগ্রামের ৭টি পৌরসভায় দ্বিমুখী লড়াই হলেও তিনটিতে জাতীয় পার্টি ও ১টিতে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াত সমর্থীত প্রার্থীর ভোটের হিসেবে ভাগ বসানোর সম্ভাবনা রয়েছে।