চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রতিবন্ধী ডাটাবেইজ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে সমাজে মূল ধারায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে প্রতিবন্ধী ডাটাবেইজ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নিবন্ধন করা হয়েছে ১৮ লাখ প্রতিবন্ধীকে। ডিসেম্বরের মধ্যেই দেয়া হবে পরিচয়পত্র।

অন্য দশজন শিশুর মতো আশরাফুল ইসলাম বাবলুর শৈশব শুরু হয়েছিলো দুরন্তপনায়। কিন্তু ১১ বছর বয়সেই থমকে গেছে তার চঞ্চলতা। গাছ থেকে পড়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তবে দমে যাননি বাবলু। ক্ষুধা দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। নিজের লড়াইয়ে সফল হলেও এখন চাকরি না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

বেকার প্রতিবন্ধী আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, দুর্ঘটনায় আমি প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। যেখানে লেখাপড়া করাটাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। সেখানে যখন চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখা পড়া করে আর একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তখন সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো শক্তি আমাদের শেষ পর্যন্ত আর থাকে না।

নিজের পছন্দ অপছন্দ তো দূরের কথা ক্ষুধার কথাও বলতে পারে না বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীরা। জন্মগত এই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের চোখ স্বপ্নহীন। তবে তাদের নিয়েও স্বপ্ন আছে মা-বাবার।

বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের অভিভাবকেরা বলেন, আমরা যারা এখানে বাচ্চা নিয়ে আসি তাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেণির। এদের নিজেদের টাকা দিয়ে স্কুলে কিছু করার মতো ক্ষমতা থাকে না।

শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত ও অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩’র আলোকে প্রতিবন্ধীদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী ভাতা বা সেবা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।

সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সচিব তারিক উল ইসলাম জানান, কার কি ধরণের চাহিদা কাকে সরকার কি ধরণের সহযোগিতা করতে পারবেন, আমাদের বিভিন্ন রকম স্কুল , চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। প্রায় সকল জেলার পাশাপাশি উপজেলা গুলোতেও এ ধরণের চিকিৎসা কেন্দ্র আমরা তৈরী করেছি। আমরা এই ডাটা কালেকশনের মাধ্যমে তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চাই।

এ উদ্যোগ সফল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তবে প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা ও সুবিধা প্রাপ্তি নিয়ে হতাশা আছে প্রতিবন্ধী স্কুলগুলোর।