দিন দিন অবৈধ দখলদারদের আয়ত্তে চলে যাচ্ছে কক্সবাজারের বনভূমি। ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ জমি দখল করে গড়ে উঠেছে বসতি। দখলকারিরা অবাধে ধ্বংস করে চলেছে বনসম্পদ। বনভূমি দখলের জন্য বনবিভাগকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
বন বিভাগের তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলায় মোট এক লাখ ৯৫ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৯৬ একর বনভূমির মধ্যে বেদখলে চলে গেছে ২৮ হাজার একর। এসব বনভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে ৬৭ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। বেসরকারি তথ্যে হিসাবটি কয়েক গুণ। শুধু মাত্র উখিয়া ও টেকনাফের বনভূমিতে বসবাস করছে প্রায় ২ লাখেরও বেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা।
স্থানীয়দের দাবি, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে অচিরেই পাহাড়ের সকল বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে। তাতে করে হুমকিতে পড়তে পারে কক্সবাজারের সৌন্দর্য। শুধু মাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এটা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি তাদের।
উচ্ছেদের জন্য বার বার অভিযোগ করলেও বনবিভাগ কার্যত নিশ্চুপ রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবেশ কর্মীদের।
সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আনম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বনভূমি রক্ষার জন্য আমরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন ও লড়াই সংগ্রাম করছি। কিন্তু বনবিভাগের ধারাবাহিক উচ্ছেদ কার্যক্রম না থাকায় এবং তাদের সদিচ্ছার অভাবে আজকে বন উজাড় হতে চলেছে।
এদিকে বনভূমি দখল ও বন উজাড়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানাচ্ছে বন বিভাগ।
কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের উপ-বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আলী কবির বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বন উজাড়ের প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করছি। জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রায় প্রতিদিনই আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেড় হাজার ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে আট হাজার ৮৪৪টি মামলা করেছে বন বিভাগ।