চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পুড়ে যাওয়া মন্দিরে মোদি, উইলিয়াম-কেটের সমবেদনা

কেরালায় মন্দিরে আতশবাজি দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহতের ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘অবর্ণনীয় বেদনার’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গতকাল ভোরের দিকে ঘটা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজন চিকিৎসকসহ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এতো মানুষের প্রাণহানীতে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারত সফররত ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়াম ও রাজবধূ কেট মিডলটন।

আতশবাজির স্তুপে বিস্ফোরণের একদিন পরও বিভীষিকাময় সেই মুহুর্তের প্রত্যক্ষদর্শীরা ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ন্ত কংক্রিট আর মানবদেহের খণ্ডাংশের ভয়াল স্মৃতি তাদের তাড়া করে ফিরছে।

মৃতদেহগুলো দেখে কার লাশ তা সনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। ডিএনএ টেস্টই একমাত্র ভরসা বলে জানান কেরালার পুলিশ প্রধান টিপি সেনকুমার।

দুর্ঘটনাস্থলের খুব কাছে অনিতা প্রকাশের বাড়িটি ছিলো। এখন সেটি ধ্বংসস্তুপ। তবে সৌভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনার রাতে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না।

বিবিসি হিন্দিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়িটি এখন বসবাসের অযোগ্য। ঘরের সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, বিস্ফোরণে সব উড়ে গেছে’।

ঘটনার ভয়াবহতার টের পাওয়া যায় এক মোটরসাইকেল চালকের ভাষ্যে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময়ও উড়তে থাকা কংক্রিট আছড়ে পড়তে দেখেছেন বলে জানান জয়শ্রী হরকৃষ্ণা।

গতরাতে ভারতের কেরালার পুত্তিঙ্গল মন্দিরে আগুন লেগে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত হয়। দগ্ধ এবং আহত হয় সাড়ে ৩শ’ জনেরও বেশি। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে তিনটার দিকে মন্দিরের পাশের মাঠে স্থানীয় নববর্ষ ‘ভিসু’ উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি উৎসবের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ জমা হয়েছিলো।

নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয়দের অভিযোগেই উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাজি পোড়াতে গিয়ে সেখান থেকেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

অনুমতি ছাড়া আতশবাজির আয়োজনের জন্য মন্দির ব্যবস্থাপক এবং এর আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে কেরালা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আতশবাজি প্রতিযোগিতা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মন্দিরের কাছে রাতভর বাজি ফাটানোর প্রতিযোগিতা চলছিলো। হঠাৎ করেই আতশবাজি থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ গিয়ে পড়ে মন্দির চত্বরে জমা করে রাখা বাজির স্তুপে।

মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মন্দির ও মন্দির চত্বরে। আতশবাজির আনন্দ উৎসব পরিণত হয় মৃত্যুর করুণ আর্তনাদে