পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে অনেককেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন মিসবাহ-উল-হক।
বিভিন্ন সূত্রের খবরে পাকিস্তানি মিডিয়া জানাচ্ছে, বিদেশি কোচ ছেড়ে এ বার দেশীয় কোচেই আস্থা রাখতে পারে পাক ক্রিকেট বোর্ড। যে কারণে হেড কোচের প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক।
বুধবারই পিসিবি ঘোষণা করেছে, বর্তমান হেড কোচ মাইক আর্থার, বোলিং কোচ আজহার মাহমুদ, ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারদের সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তি হচ্ছে না। ফলে, তারা চাকরি খোয়াচ্ছেন।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণেই বর্তমান কোচদের ছেঁটে ফেলা হয়।
পাকিস্তানের হয়ে ৭৫টি টেস্ট, ১৬২টি ওয়ানডে ও ৩৯টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। এহসান মানি পরিচালিত প্রশাসন মনে করছে, পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করতে পারবেন মিসবাহ।
ওই সূত্রের খবরে সেদেশে মিডিয়া আরও জানায়, বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন মোহাম্মদ আকরাম। তিনি এখন হাবিব ব্যাঙ্ক লিমিটেড ও পাকিস্তান সুপার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি পেশোয়ার জালমির হেড কোচ। সাত বছর আগে আকরাম জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই খবর ছড়িয়েছিল, আর্থারকে কোচের দায়িত্ব থেকে সরানো হবে। তিনি আবার পিসিবির ক্রিকেট কমিটির সামনে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদর দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। সরফরাজকে সরিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাদাব খানকে অধিনায়ক করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আর্থার। অন্যদিকে, টেস্ট ক্রিকেটে বাবর আজমকে অধিনায়ক করার প্রস্তাব দেন তিনি।
পিসিবির কাছে তদবির করে বলেছিলেন, বছর দু’য়েক তাকে সময় দেয়া হলে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাবেন তিনি। আর্থারকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তার দেয়া যুক্তি মেনে নিতে পারেননি পিসিবি কর্মকর্তারা। বোর্ডের পক্ষ থেকে আর্থার এবং তার সাপোর্ট স্টাফকে ‘গুডবাই’ জানিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে, আর্থারের রেখে যাওয়া চেয়ারে বসতে যাচ্ছে মিসবাহ। তবে পিসিবি বা মিসবাহ, কেউই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেননি।