প্রথম দুই আসরের দেনা পাওনা নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজিদের সঙ্গে চুড়ান্ত বোঝাপড়া শেষে বেজে উঠেছে ‘বিপিএল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-থ্রি’ শুরুর ঘন্টা। পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের দলে রাখার সুযোগ দিয়ে খেলোয়াড় নেওয়ার নিলাম পদ্ধতি বাতিল করেছে।
২ বছর ১০ মাসের বিরতির পর ২৪ নভেম্বর মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে ক্রিকেট কার্নিভাল। ২২ নভেম্বর হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পুরোনো তিন আর নতুন তিন মোট ছয় ফ্রাঞ্চাইজি’কে নিয়ে বসছে এবারের আসর।
২০১৩’র জানুয়ারিতে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে এমন এক জমকালো উদ্বোধনী দিয়ে পর্দা উঠেছিলো ‘বিপিএল’ টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আসর আর রঙ্গিন থাকেনি। ফ্রাঞ্চাইজিদের পাওনা পরিশোধে অনীহা আর ম্যাচ-ফিক্সিং এর কালো থাবায় বিপিএল গিয়েছিলো নির্বাসনে।
দেশী-বিদেশী ক্রিকেটারদের বকেয়া পরিশোধ, পাওনা পরিশোধে অক্ষম ফ্রাঞ্চাইজিদের বাদ, তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরুর পাশাপাশি বিপিএল থ্রি’র আয়োজনের চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। টাইটেল স্পন্সর বিআরবি কেবলস। নতুন ফ্রাঞ্চাইজি তিনটি আর পুরোনো আই স্পোর্টস, রয়েল স্পোর্টিং এবং আলিফ গ্রুপ পাচ্ছে নতুন নামের দল।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান জানান, এবারের আসরের জন্য এই ছয় ফ্রাঞ্চাইজিকে বেছে নেয়া হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ২২ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রথম ম্যাচটি হবে ২৪ তারিখে।
এবার আর নিলাম নয়, প্লেয়ার বাই চয়েসের মাধ্যমে তারকারা দলভুক্ত হবেন। তাই থাকছে না অফুরন্ত ডলারের ঝনঝনানি। তবে এক মৌসুম শেষে আবারো বিপিএলে বিদেশী ক্রিকেটারদের কোটায় দেখা যাবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব আই এস মল্লিক জানান, পাকিস্তান ক্রিকেটাররা আসবে এরকম কিছু এখনো আমরা জানি না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যোগাযোগ রাখছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আসবে এমন কাঠামো রেখেই বিপিএল’এর আয়োজন করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় আসরে ছিলো সাত, তৃতীয় আসরে ছয়। এবারের ছ’টি দলের সঙ্গে চার বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে বিসিবি। আয়োজকদের আশা, আগামীতে সর্বাধিক দশ দল নিয়ে হবে বিপিএল।