টানা বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে বেড়ে যাওয়া তরিতরকারির দাম অবশেষে কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ আগে যেসব পণ্যের দাম বেশী ছিলো তা এ সপ্তাহে তা কিছুটা কমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা এর কারণ হিসেবে কাঁচা পণ্যের বেশী সরবরাহের কথা বলছেন। আর ক্রেতারা জানিয়েছেন, দাম কিছুটা কমলেও তা হাতের নাগালের বাইরে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে রাজধানীর তরিতরকারির পাইকারি বাজার কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, শসা ৩৫ টাকা এবং ডিম এক ডজন ১০৮ টাকা।
তবে বাজারে নতুন ফুলকপি প্রতিপিছ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি হিসেবে দাম ২০০ টাকা।
৫ আগষ্ট বাজারে এসব পণ্যের খুচরা মূল্য ছিল পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা এবং বেগুন ৭০ টাকা কেজি।
বাজারে দাম কিছুটা কম হলেও ক্রেতারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কাওরান বাজারে আসা ক্রেতা আকমাল হোসেন বলেন, যদিও গত সপ্তাহের চেয়ে কয়েক টাকা দাম কম কিন্ত যা দাম আছে তা তো আকাশ ছোঁয়া।এমন দামে টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহের চেয়ে কাঁচা বাজারের দাম কমের কারণ জানতে চাইলে ১৫ বছর ধরে এ বাজারে খুচরা কাঁচামাল বিক্রেতা নূর ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আগের সপ্তাহে দাম বেশি থাকার কারণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের কারণে ঠিকমতো কাঁচামাল আসতে পারেনি তাই দাম বেশি ছিল। তবে এখন আর সে অবস্থা নেই মোকামে পর্যাপ্ত পণ্য আসছে, সারা দেশ থেকে পণ্যের আমদানি বাড়ছে তাই দাম কিছুট কমে গেছে।
বাজারে ঘুরে দেখো গেছে কাঁচা পণ্যের সরবরাহ ভালো। ডিমের দাম গত সপ্তাহে বেশি থাকলেও এখন কিছুটা কমে গেছে। রহিমা কিচেন এন্ড ব্রয়লার হাউজের মহিন জানালেন, এক সপ্তাহ আগে এক হালি ডিম এক দিনের জন্য ৩৮ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ৩৬ টাকায় বিক্রি করছি। এখানে খুচরা এবং পাইকারী একই দামে বিক্রি হয়। তবে দাম বেশী হওয়ার কারণ হিসেবে বৃষ্টি এবং বন্যার কথা জানিয়েছেন।
কারওয়ানের বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, আগামীতে কাঁচামালের দাম আরো কিছুটা কমতে পারে।