নেপালের ভূমিকম্পে যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা এখন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। ভূমিকম্পে নেপালজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে ১ হাজার ইউরোপীয় নাগরিকের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা।
ভূমিকম্প থেমে গেছে, কিন্তু নেপালের মানুষের দুর্ভোগ সেখানে থেমে নেই। ধ্বংসস্তূপ যতো সড়ানো হচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততোই বাড়ছে। যারা বেঁচে আছেন তাদের বেশিরভাগই ভালো নেই।
কাঠমান্ডু ভ্যালির ললিতপুরের দুকুচাপ গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থাও নেই। কষ্টে দিন পার করা গ্রামবাসীদের অনেকেই ডায়রিয়াসহ নানা পনিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নেপালের অনেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। তাদের সহায়তায় জরুরীভিত্তিতে আরো ওষুধ ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ভূমিকম্পের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি ইউরোপীয় নাগরিকের কোনো হদিস মিলছে না। তাদের বেশিরভাগই এভারেস্ট এলাকায় হাইকিংয়ে ছিলেন, আবার কেউ ছিলেন দুর্গম লাংটাং এলাকায়। ই ইউ’র আশা, বেশিরভাগই বেঁচে আছেন, হয়তো ভূমিকম্পের কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা থাকায় নেপালজুড়ে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে । মরদেহ সনাক্তে খুব বেশি সময় না দিয়ে, দ্রুত সৎকারের নির্দেশ দিয়েছে নেপাল সরকার।