শ্রীলঙ্কায় নতুন সংবিধান রচনার কাজ শুরু করেছে দেশটির সরকার। প্রায় ২৬ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের জন্য দায়ী সমস্যাগুলোকে নির্মূল করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনা ও খসড়া তৈরির জন্য পার্লামেন্টকে আপাতত একটি গণপরিষদে রূপান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রেমাসিংহে।
সংসদ অধিবেশনে মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে চলে আসা সংবিধানের কোথাও ভিন্ন ভিন্ন জাতিসম্প্রদায়ের মধ্যে একতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তাই সংখ্যালঘু তামিলদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিরা আপত্তি জানানোয় দেশে সন্ত্রাস এবং যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিলো।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এখন বিশ্বাস করি, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের জন্য আমাদেরকে তৈরি হতে হবে।’
তামিল টাইগার বিদ্রোহীরা সংখ্যালঘু তামিল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর কাছে তারা হেরে যায়। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধের শেষ কয়েক মাসেই ৪০ হাজারের বেশি বেসামরিক তামিল মারা যায়।
গৃহযুদ্ধের সময় সরকারি বাহিনী এবং তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের ওপর আনা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে নিশ্চয়তা দিয়েছে শ্রীলঙ্কার বর্তমান সরকার।