পদ্মা, যমুনা, ধরলাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি প্রতিদিন বেড়েই চলেছে । ধলেশ্বরী, পদ্মা ও যমুনার পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটারের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানিও। এতে দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
উজানে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে প্লাবিত এলাকা। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর ও গাইবান্ধায় কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা-পদ্মার পানি যেভাবে বাড়ছে তা ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভাগ্যকূল ও মাওয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যেতে পারে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হতে পারে এ সময়। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজান মেঘনা অববাহিকায় নদনদীর পানি কমছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
করোনার প্রকোপ মেনে নিয়ে আর লকডাউনের প্রভাব কাটিয়ে দেশের বিভিন্ন জনপদ কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এইসময়ে দেশজুড়ে বন্যার প্রভাব নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যার প্রভাবই বলা হোক বা ব্যবসায়ীদের কারসাজিই বলা হোক না কেন, শাকসবজি ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। একদিকে পানি আর অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী জনগণ নানা রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কিছু এলাকার পানিবন্দী মানুষ দীর্ঘদিন বেকার অবস্থায় থাকায় ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ।
বন্যা দেশের জন্য নতুন কোনো সমস্যা না, প্রতিবছরই নদীমাতৃক এই দেশের মানুষের জীবনে দেখা দেয়। কিন্তু যেহেতু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করোনার কারণে জনগণের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত, সেজন্য বন্যার আগেপরে নানা প্রভাব বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের জরুরি ভিত্তিতে নজর দেয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।