দেশের উত্তরে কয়েক জেলায় উন্নতি এবং কয়েকটিতে অবনতির মধ্যে ঢাকার নিম্নাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ৯ জেলাতেও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য নিজেরা প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রিয়াজ আহমেদ বলেন, নেপাল ও ভারতের বিহারে বন্যা পরিস্থিতির কারণে গঙ্গা-পদ্মায় আগামী তিন দিন পানি আরো বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সে হিসাবে আগামী ১৯-২০ তারিখ নাগাদ বন্যাকবলিত হয়ে পড়তে পারে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলের ৯ জেলা ।
ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে এখন যে পানিপ্রবাহ তা গত ষাট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা নদীর নুনখাওয়া, চিলমারি, সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ এবং আরিচার মতো স্পর্শকাতর পয়েন্টে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এর ফলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কী করণ কেন্দ্র,বাপাউবো নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও করতোয়ায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় পানি কমে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। একই সময়ে সুরমা-কুশিয়ারায় পানি কমে সিলেট অঞ্চলেও পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তবে আশার কথা ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশে উজানে ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টায় পানি কমে আসবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা এবং মেঘনা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে ভয়াবহ বন্যা থেকে রক্ষা পেতে পারে বাংলাদেশ।