চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খুলনায় অবাধে চলছে পরিবেশ দুষণ

খুলনা মহনগরীর আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা ৭০টি কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ছাইয়ের প্রভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ সত্ত্বেও মিল মালিকরা অবাধে সম্প্রসারণ করছে ব্যবসা। এ থেকে রেহাই পাবার জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নেওয়া কোন উদ্যোগেরই বাস্তবায়ন নেই।

মহানগরী খুলনার আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা পোল্ট্রি ও অন্যান্য কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ছাই এর প্রভাবে পুরো এলাকার পরিবেশ দূষনের কারণে নানা আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। ক্ষতির স্বীকার এলাকাবাসীদের অভিযোগ এ কারণে নানান প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, ১৫ দিন পর পর ডাক্তারদের কাছে যেতে হয়। কোনো কোনো সময় সমস্যা হতেই থাকে। স্কুলে পড়া এক শিশু বলেন, ময়লা ছাই চোখে পড়ার কারনে আমি কিছুই করতে পারি নাই।

ভুক্তভোগী আরেকজন পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরেও অভিযোগ করেছি। সেখান থেকে ওনারা এসে দেখে গেছে কিন্ত কোন কাজ হয় নাই।

এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিবেশ দুষণকারী ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনকারী অন্তত ৫০টি কারখানা ও ২০টির মতো পোল্ট্রি ও ডেইরি ফার্ম অন্যত্র সরিয়ে নিতে মিল মালিকদের সময় বেঁধে দেয়।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ঘন বসতি এলাকার মধ্যে একটা চিমনি বা বড় একটা চুল্লি নির্মাণ করার অনুমতি দেবে বা ওখানে তারা ঐ ধরনের ব্যবসা করবে, এটা আসলে সিটি কর্পোরেশন এখতিয়ার ভুক্ত হওয়া উচিত।

এত দূষনের ফলেও মিল মালিকরা বলছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি মেনেই তারা মিল চালাচ্ছেন। একজন মিল মালিক বলেন, সিটি কর্পোরেশন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কেউ আমাদের এরকম কোন নিয়ম বেঁধে দেয় নাই। আর একজন মিল মালিক বলেন, কেউ অনুমোদন দেয় নাই, একজনের দেখাদেখি গড়ে উঠেছে।

শুধু আইন দিয়ে নয় খুলনা সিটির পরিবেশ রক্ষার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ চায় পরিবেশ অধিদপ্তর। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, চালের কল আছে বরফ কল আছে এর অনেকগুলোর কিন্তু ছাড়পত্র নাই। আমরা তাদের নোটিশ দিয়েছি ছাড়পত্র নেবার জন্য।