বঙ্গোপসাগরের লাগোয়া চরগুলোতে মানুষ এবং গবাদিপশুর অবাধ বিচরণে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। এ কারণে কমে যাচ্ছে পাখিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণির আনাগোনা। নষ্ট হচ্ছে সরকারি বনায়নও।
দক্ষিণে পটুয়াখালী, ভোলা এবং নোয়াখালী জেলায় বঙ্গোপসাগরের ভেতরের চরগুলোতেও মানুষ এবং গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ। বসতি নেই এমন চরেও দেখা যায় গরু এবং মোষ।
প্রকৃতির নিয়মেই এসব চরগুলোতে নিয়মিত ভাঙা-গড়ার খেলা চলে। এজন্য বছর বছর বসতি এবং গবাদিপশুর লালন পালনের জায়গাও বদল হয়। এ কারণে নতুন জেগে ওঠা চর এবং কাদামাটির চরগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশও দ্রুত নষ্ট হচ্ছে।
আবার সমুদ্রের গভীরের জনমানবহীন চরে বন বিভাগের বনায়নের বৃক্ষও কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং পানি ও বালুর চাপেও নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতিক পরিবেশ।
এসব চরের প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে, পরিযায়ী পাখি, বন্যপ্রাণি এবং উদ্ভিদের আবাসস্থল রক্ষায় মানুষের আনাগোনা এবং গবাদি পশুর চারণের জন্য কিছু চর নির্দিষ্ট করে দেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: