চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘উচ্ছৃঙ্খল’ ভারতীয় যুবাদের কঠিন শাস্তি চান আজহার-কপিল

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে হালকা ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের ক্রিকেটাররা। যার জেরে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ ১০ ম্যাচ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। সেটি কমই হয়ে গেছে বলে মত ভারতের দুই সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও কপিল দেবের। শৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরতে নিজ দেশের যুবাদের আরও কঠিন শাস্তি দেয়ার জন্য বোর্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন দুই গ্রেট।

পচেফস্ট্রুমে রোববারের ম্যাচে শুরু থেকেই উত্তেজনা দেখা গেছে বাংলাদেশ-ভারতের খেলোয়াড়দের মাঝে। আগ্রাসী মনোভাবে কেউ কাউকে চাননি ছাড় দিতে। স্লেজিং, পাল্টা স্লেজিং থেকে শুরু করে উত্তাপ ছড়ানো বাক্যবিনিময়, সবই ছিল ম্যাচে।

উত্তাপের মাত্রা ছাড়ায় রাকিবুল হাসানের ব্যাটে বাংলাদেশের জয়সূচক রানটি আসার পর। উল্লাস ফেটে পড়ার সময় হঠাতই দেখা গেছে ধাক্কাধাক্কি করছেন দুই দলের কয়েকজন খেলোয়াড়। দোষী প্রমাণ হওয়ায় জুনিয়র টাইগারদের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হৃদয় ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন। যা ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। অলরাউন্ডার শামীম পেয়েছেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট, এটিও ছয় ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল পেয়েছেন চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট যা পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।

ভারতীয় পেসার আকাশ পেয়েছেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। লেগস্পিনার বিষ্ণোয় পেয়েছেন ৫ সাসপেনশন পয়েন্ট, যা পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।

মাঠের আগ্রাসনকে ছাপিয়ে এমন কাণ্ড করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করেন আজহার। দোষী ভারতীয়দের কঠোর সমালোচনা করে আরও বড় শাস্তি দেবার পক্ষে তিনি।

‘অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাই বলব আমি। এই জুনিয়র ক্রিকেটারদের শিক্ষিত করার জন্য সাপোর্ট স্টাফের ভূমিকা কী ছিল, সেটাও আমি জানতে চাই। ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হয়। নিয়ম মেনে চলতে হয়। আগেই ওদের শেখানো উচিত ছিল। এখন তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’

খেলার আগ্রাসনের পক্ষে থাকলেও আজহারের কথাতেই কণ্ঠ মিলিয়েছেন কপিল দেব, ‘আমি চাই বোর্ড দোষী ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। ক্রিকেট মানেই প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করা নয়। অনেকগুলো কারণের জন্যই যুব ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বিসিসিআই।’

‘আগ্রাসনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। মাঠের ভিতরে আগ্রাসন দেখাতেই পারে ক্রিকেটাররা। এরমধ্যে দোষের কিছু নেই। অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করা কখনোই উচিত নয়। মাঠের ভিতরে যুব ক্রিকেটারদের এরকম অশোভন আচরণ মেনে নেয়া যায় না।’