চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাহালমের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রায় যেকোন দিন

‘ভুল আসামি’ হয়ে ২৬ মামলায় প্রায় ৩ বছর কারাগারে থাকা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রায় যেকোন দিন।

জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হলে বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণাটি অপেক্ষমান রাখেন।

আদালতে জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুভাষ চন্দ্র দাস। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লোকটির বয়স ৩০-৩২ বছরের বেশি না। পরনে লুঙ্গি আর শার্ট। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারকের উদ্দেশে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘স্যার, আমি জাহালম। আমি আবু সালেক না,আমি নির্দোষ।

আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যেঘটনার তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।’’

পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি গত বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। এরপর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জাহালমকে ওই দিনই অব্যমুক্তির নির্দেশ দেন। সেই সাথে জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের ওইদিনের আদেশের কয়েক ঘন্টা পরই কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম।