২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯। ফ্লোরিডা প্রণালীর উম্মাতাল জলে নৌকাডুবিতে বারোজন যাত্রী ডুবে মারা যায়। যাত্রীরা কিউবার। আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজবে বলে নৌকায় উঠেছিল।
মাছধরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরছিল ফ্লোরিডার দুই মৎস্যজীবী তরুণ। নৌকাডুবির খবরটি তারা জানত না। কিউবা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের নৌকাডুবিতে মরার ঘটনা আকছারই ঘটতো বলেই হয়তবা!
হঠাৎ তাদের নজরে এলো একটি টায়ার ঢেউয়ের তোড়ে ডুবছে ভাসছে। মনে হলো টায়ারের গায়ে একটি পুতুল লেপ্টে আছে। খানিক পরেই একজন দেখল পুতুলটির হাত নড়ছে। দুজনেই ঝাঁপিয়ে পড়ল জলে। পুতুল নয়, তারা উদ্ধার করল পুতুলের মতো ফুটফুটে পাঁচ-ছয় বছর বয়সী একটি শিশুকে।
শিশুটির নাম এলিয়ান গঞ্জালেস। সেই নৌকাযাত্রায় তার তালাকপ্রাপ্তা তরুণী মায়ের সলিল সমাধি হয়েছিল।
১৯৫৯ সালে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর ভিন্নমতাবলম্বিরা ও ফিদেল ক্যাস্ত্রোবিরোধীরা কিউবা হতে পালিয়ে আসতে থাকে আমেরিকায়। এভাবেই ফ্লোরিডা উপকূলে কিউবান আমেরিকানদের নিজস্ব সমাজ গড়ে উঠেছে ছানায় পোনায়। উদ্ধারকারী যুবকদের পূর্বপুরুষরাও ক্যাস্ত্রোবিরোধী।
উদ্ধারকারিরা ছিলেন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। দুই ভাই শিশু এলিয়ানকে নিয়ে এল ফ্লোরিডার কিউবান অভিবাসীদের সমাজে। দু’দিনেই এলিয়ান প্রাক্তন কিউবানদের নয়নের মনি হয়ে উঠল। অভিবাসীদের কাছে আলিয়ান যেন একখণ্ড স্বদেশচিহ্ন; যেন সকলের বুকের গভীরে পুষে রাখা মা-মাটি-বন্ধু-স্বজন পরিত্যাগের বেদনা উপশমের মন্ত্র হয়ে উঠল। এলিয়ানের মাঝেই যেন তারা খুঁজে পেল মাতৃভূমির বুকে গড়া শৈশবস্মৃতি, হাসিকান্না আর পিছুটানের প্রতিবিম্ব- স্বদেশের স্মারক। এলিয়ান বুঝি দেবশিশু।
ম্যারিস্লিস নামে একুশ বছরের এক তরুণী এলিয়ানকে মায়ের ভালবাসায় বুকে টেনে নিল। কি দিন কি রাত, কি রোগবালাই কি রাত জাগার কষ্ট এলিয়ানই যেন ম্যারিস্লিস-এর ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন। সম্পর্কে ম্যারিস্লিস এলিয়ানের বোন। তার বাবার চাচাতো দাদা লাজারোর কন্যা। লাজারো অনেক আগেই কিউবা থেকে ফ্লোরিডা পালিয়ে এসেছিল।
ফ্লোরিডার কিউবান কমিউনিটিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের খড়গ নামল। শত্রুদেশের একটি অভিভাবকহীন-পরিচয়হীন শিশুকে রাষ্ট্রের জিম্মায় নিয়ে যেতে বা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে তারা হামলে পড়ছিল কিউবান আমেরিকান কমিউনিটিতে। ফুটফুটে শিশুটির শেষ পরিণতি আমেরিকার এতিমখানা, জেলখানা বা আরো খারাপ কিছু হবে-এমন আশঙ্কায় ম্যারিস্লিস-এর সঙ্গে পুরো কিউবান আমেরিকান সমাজ জোটবদ্ধ হয়ে এগিয়ে এলো এলিয়ানকে নিজেদের করে রাখতে। তারা পণ করল- জান যাবে যাক, এলিয়ানকে রাষ্ট্রের হাতে দিবেনা।
মেরিস্লিস এলিয়ানের মা-বন্ধু-খেলার সাথী বনে গেল। এই অসাধারণ ভালবাসার দিনগাঁথা সবাইকে এতটাই অভিভূত করল যে কিউবান আমেরিকানরা সিদ্ধান্ত নিল তারা এলিয়ানকে কিউবাই ফেরত পাঠাতে দেবে না। কারণ এলিয়ানের বাবা জুয়ান মিগুয়েল মাস কয়েক আগে এলিয়ানের মা এলিজাবেথকে তালাক দেয়। কেউ বিশ্বাস করছিল না যে কিউবায় তার কাছে বা সৎ মায়ের কাছে এলিয়ান আদর পাবে? উপরন্তু জুয়ান কিউবায় যুব কমিউনিস্ট পার্টির দাপুটে ও ক্ষমতাধর সক্রিয় সদস্য। ক্ষমতাধর প্রাক্তন স্বামী এলিয়ানকে ছিনিয়ে নিবে- এই হারাবার আশঙ্কা-আতঙ্ক-ভয়েই কিন্তু এলিজাবেথ নৌপথে এলিয়ানকে নিয়ে চিরতরে কিউবা ছাড়ার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল।
একনিষ্ঠ ফিদেলভক্ত এবং কট্টর মার্কিনবিরোধি জুয়ান শুরুতেই সরাসরি ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে জড়িত করে বসল মার্কিন কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে যাতে এলিয়ানকে কিউবা পাঠিয়ে দেয়া হয়। বারবার বলে চলছিল তার প্রাক্তন স্ত্রী সকলের অজান্তে তার পুত্রকে নিয়ে কিউবা ছেড়েছিল। পেছনে কোনো প্ররোচনা থাকতে পারে। প্রাক্তন স্ত্রী হলেও মৃতাকে বারবার এভাবে চিত্রিত করায় কিউবান আমেরিকানরা শঙ্কিত হলো।
এলিয়ানকে বিশেষ বিবেচনায় নাগরিকত্ব দেয়া হোক এই আবেদন নিয়ে লাজারো এই কোর্ট থেকে ওই কোর্ট, এই কাচারি হতে ওই কাচারিতে দৌড়াদৌড়ি করে জানতে পারল অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় বাবা-মা ছাড়া কোনো আত্মীয় আবেদন করতে পারবেনা। সেটি করতে হলে এলিয়ানের বাবাকে আমেরিকা এসেই আবেদন করতে হবে। কিউবান আমেরিকানরা প্রস্তাব করল ছেলের জন্য ভালোবাসা দেখিয়ে জুয়ানই চলে আসুক না কেন? তারা সিদ্ধান্ত নিল জুয়ান এলে তাকে একটি অত্যাধুনিক বাড়ি এবং একটি গাড়ি চিরতরে দিয়ে দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবার জন্য স্পন্সর হবার দায়িত্ব হতে শুরু করে কাই-খরচা যত যা যা কিছুই করতে হয় করবে। ভালো বেতনের চাকরিও জুটিয়ে দিবে।
জুয়ান আমেরিকা নামটিই শুনতে নারাজ। পুত্রকে ফিরিয়ে নেবার জন্য যে অভিভাবক হিসেবে আসতে হবে, সেটিও করতে নারাজ। লাজারোসহ কিউবান আমেরিকান আত্মীয়রা কাস্টোডিয়ান হবার জন্য যা যা করতে হয় করবে ঘোষণা দিল। এলিয়ানকে নিজেদের কাছে রাখবার অধিকার পাবার কোর্ট রুলিং চেয়ে তারা আবেদন করল। কিন্তু দুইটি বড় আইনগত সমস্যা দেখা দিল। ‘ওয়েট ফিট ড্রাই স্যান্ড’ নিয়ম অনুযায়ী কেউ পানি ডিঙিয়ে সীমান্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে ফ্লোরিডার মাটি স্পর্শ করতে পারলে তবেই শরণার্থী দাবি করতে পারে। মাঝসমুদ্র হতে তুলে আনাদের এই সুবিধা দেয়া যাবেনা বলে কোর্ট রায় দিয়ে চলছিল। কংগ্রেস এবং সিনেটেও বেশির ভাগ সদস্যও মানবিকতা দেখার চাইতে ‘ওয়েট ফিট ড্রাই স্যান্ড’ নিয়ম মানার পক্ষেই মতামত দিল।
এদিকে এলিয়ানকে হারাবার আশঙ্কা আতঙ্কে মেরিস্লিস দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য প্রার্থনা করে ফিরছে যাতে তাকে এলিয়ানবিহীন বাঁচতে না হয়। এলিয়ানকে যেন তার কাছ হতে ছিনিয়ে নেয়া না হয়!
সেসময় কিউবার কট্টর কমিউনিস্ট মহলে কেউ কেউ এই গুজবটিও রটাল যে এলিজাবেথ এলিয়ানকে অপহরণ করেছিল। এই গুজব হালে পানি পেল কারণ এলিজাবেথের সঙ্গে ছিল তার প্রেমিক। দুজনের পরিকল্পনা ছিল ফ্লোরিডায় নেমে তারা বিয়ে করবে, সংসার করবে। আর কিউবায় ফিরবেনা। কিন্তু দুজনেরই সলিল সামধি হলো।
কিউবায় আরেক গুজবও প্রচার পেল যে এলিজাবেথ এবং তার প্রেমিক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চর। উগ্র জাতীয়তাবাদী ফিদেল সমর্থকদের কেউ কেউ এমন গুজবও ছড়ালো যে চরবৃত্তির লোভ দেখিয়ে এলিজাবেথদের হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রকে অপরাধটি স্বীকার করতে হবে এবং এলিয়ানের জীবনাশঙ্কা তৈরি করার সকল দায়দায়িত্ব নিতে হবে। একদল উত্তেজিত কিউবান নাগরিক মার্কিনবিরোধী শ্লোগানে রাস্তায়ও নেমে এল। ফিদেল-এরও একটিই কথা এলিয়ানকে ফেরত পাঠাও।
এসব কারণেই সম্ভবত ফ্লোরিডার কিউবান আমেরিকানরা এই বিচারিক আদালত হতে ওই বিচারিক আদালত, কংগ্রেস হতে সিনেট পর্যন্ত ছোটাছুটিতে গলদঘর্ম হলো শুধু একটি আর্জি জানাতে- এলিয়ানকে মেরিস্লিস এর কোল হতে ছিনিয়ে নিও না, আমাদের কাছ হতে ছিনিয়ে নিও না। কোনো রাজনীতি-কূটনীতি-অভিবাসন আইন দিয়ে ভালবাসাকে বেধোঁনা। মানুষকে মানুষের মতো দেখো। ভালোবাসা দেখো। সীমান্ত দেখো না। রাজনীতির চোখ দিয়ে ভালবাসা দেখো না।
বিষয়টিকে ফিদেলের সরকার অতিনাটুকে করে ফেলায় ক্লিন্টন সরকারও মহাবিরক্তি ও ক্রোধ প্রকাশ করে বসল। বোঝা যাচ্ছিল জোর প্রয়োগ করে হলেও এলিয়ানকে আমেরিকা ছাড়া করা হবে। এটর্নি জেনারেল জ্যানেট রেনো এবং ক্লিনটন সরাসরি ঘোষণা দিল যে কিউবান আমেরিকান সমাজ যদি স্বেচ্ছায় এলিয়ানকে রাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ না করে তাহলে রাষ্ট্র সেনা-পুলিশ লাগিয়ে এলিয়ানকে উদ্ধার করবে।
এভাবেই ২০০০ সালের এপ্রিলের শেষদিকে এলিয়ান বিশ্ব সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠল। কিউবা-আমেরিকার উত্তেজনা বহু বছর পর আবার চরমে উঠল। মিডিয়া লাইভ কভারেজ দিতে থাকল। কয়েকটি জরিপকারী সংস্থা জরিপও করলো এলিয়ানকে ফেরত পাঠানো সম্পর্কে আমেরিকানদের মতামত জানতে। স্বভাবতই এই প্রশ্নে আমেরিকানরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেল। তবে বাবার দাবিই অগ্রগণ্য মতামতটি প্রাধান্য পেল। উচ্চ আদালতের শেষ রায়ও একই রকম।
কিউবান আমেরিকান সমাজের যুবকরা সেনা-পুলিশের সঙ্গে লড়তে হলে লড়বে- এমন দৃঢ়প্রত্যয়ে পাহারা বসাল। কিন্তু যে ঘরে এলিয়ানকে লুকিয়ে রাখা ছিল সেই ঘরে ভারি অস্ত্রসজ্জিত ইমিগ্রেশন পুলিশ হানা দিল ২০০০ সালের ২২ এপ্রিল। ছিনিয়ে নিল এলিয়ানকে। মেরিস্লিসকে বোবা কান্নায় ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে জুন এর ২৮ তারিখে এলিয়ানকে কিউবাতে প্রত্যাবাসিত করা হলো। প্রত্যাবাসনের আদালতি প্রক্রিয়া চলল এপ্রিল হতে জুন দুইটি মাস। দুইটি মাস ফ্লোরিডার রাস্তায় রাস্তায় ছিল প্রত্যাবাসনের পক্ষে বিপক্ষের মানুষের জমায়েত। আর অশ্রুসজল কান্নাকাতর কন্ঠের হাহাকার আবেদনে আহাজারিরত, মিডিয়া হতে আদালতে দৌড়ছুটরত এক স্বর্গমাতা- ম্যারিস্লিস।
হলিউড তো বটেই বিশ্বের অনেক দেশের অনেক চিত্রনির্মাতাই এই ঘটনাটি অবলম্বনে বাণিজ্যিক সিনেমা করতে চেয়েছেন। কিন্তু মেরিস্লিস সবিনয় অনুরোধ করেছে সকলকে- এলিয়ানের জন্য যে ভালবাসা আমার অস্তিত্বের গহনে গভীরে; এলিয়ানকে হারিয়ে যে ভাঙ্গনে ভেঙ্গেছি, তার কণা পরিমানও গল্পে সিনেমায় তুলে আনতে পারবে না কেউই। তারচেয়ে বাদ দাও। এই ভালোবাসাকে অন্তরেই রাখতে দাও, বাজারে তুলো না!
ম্যারিস্লিসের অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন সকলেই। ২০১৭ সালে ‘এলিয়ান’ নামের পেশাদার ডকুমেন্টারিটির আগে শৌখিন চিত্রনির্মাতাদের মিডিয়া ক্লিপ জোড়াতালি দেয়া কয়েকটি ঘরোয়া ডকুমেন্টারি ছাড়া মেরিস্লিসের মাতৃত্বের গল্প খুব বেশি বাজারে উঠেনি।
এলিয়ানের কী হলো? আগে ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা বলে নেই।
২০১৩ সালে কিউবার ভারাদেরোতে গিয়েছিলাম। আমাদের গাইড ছিল একজন উচ্চশিক্ষিত যুবক। সে জিজ্ঞেস করল- এলিয়ানকে চেনো? তার বাবা কিন্তু ভারাডেরোতেই হোটেলে কাজ করে। আমেরিকান-কানাডিয়রা অনেকেই এসে জুয়ানের সঙ্গে দেখা করে। এলিয়ানের সঙ্গেই বেশি দেখা করতে চায়, কিন্তু তাতে নিষেধাজ্ঞা আছে। তুমি দেখা করবে না? যদি চাও আমি ব্যবস্থা করে দেব।
আমি চট করে বুঝতে পারিনি কোন জুয়ান কোন এলিয়ান কিসের নিষেধাজ্ঞা। তাই বললাম- না থাক। পরের বার এলে দেখা করব। রাতে হোটেলে ফিরে হঠাৎ চোখে ভাসল ২০০০ সালের এপ্রিল মে মাসে কানাডিয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও দেখা গিয়েছিল ম্যারিস্লিসের আর্তি।
এলিয়ানের কী হলো? ফিরে আসার পর কিউবায় তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় উৎসবে বরণ করা হলো। সম্ভবত পুঁজিবাদের উপর সমাজতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বুঝানোর রূপক হিসেবে।
তারপর ফিদেলের হাতে তার দীক্ষা হলো। শিশু কমিউনিস্ট পার্টি, কিশোর কমিউনিস্ট পার্টি, মিলিটারি স্কুল- এসব ধারাবাহিকতায় সে এখন তরুণ কমিউনিউনিস্ট পার্টির অত্যন্ত প্রভাবশালী, ক্ষমতাধর ডাকসাইটে নেতা।
কানাডায় বসবাসরত কয়েকজন কিউবান এর সঙ্গে এক আলোচনায় বুঝলাম কিউবানদের অনেকেই মনে করে এলিয়ানের পরিচিতিকে পুঁজি করে তাকে ভবিষ্যতের কিউবার নেতা বানানোর আদর্শিক যন্ত্রে চেঁছেছুলে গড়েপিটে বড় করে তোলা হয়েছে। বুঝাই যায় সে নিজেও ক্ষমতাশীর্ষে পৌছার উচ্চাভিলাষে, স্বপ্নে বিভোর। তার মুখে শুধুই ফিদেলের স্তুতির খই ফোটে।
সম্প্রতি এলিয়ান বলেছে- ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। যদি করতামও ফিদেলই হতো আমার খোদা।’
অবাক করার মতো হলেও সত্য যে ম্যারিস্লিস বিষয়ে তার বিশেষ ভাবালুতা দেখা যায়নি। এলিয়ান কি ‘মগজ ধোলাই’ প্রকল্পের উৎকৃষ্টতম একটি উদাহরণই হয়ে পড়ল শেষ পর্যন্ত! তার মগজে কি এই অভিজ্ঞান পুঁতে দেয়া হয়েছে সাম্যবাদ টিকিয়ে রাখতে হলে ভালবাসার স্মৃতি, কৃতজ্ঞতার বোধকে উপড়ে ফেলতে হবে। পেছনে কি খেলা করছে না ক্ষমতার লোভ, আদর্শবাদকূহক?
আবার যদি ভারাদেরো যাই, যদি গাইড জিজ্ঞেস করে- এলিয়ানের সাক্ষাত চাও, বলবো- উল্টো এলিয়ান আমার সাক্ষাত চাইলেই পাবেনা। তুমি বরং এলিয়ানকে আমার হয়ে জিজ্ঞেস করো ফিদেল তোর খোদা হলে ম্যারিস্লিসিস কি?
কখনো সুযোগ পেলে ম্যারিস্লিসকেই দেখতে যাব। তার কদম ছুঁবো। প্রাণভরে দেখবো।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)