চলমান ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন ফ্রান্সের অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। সংকট নিরসনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ।
বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় সরকার কী কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেগুলো এই ভাষণে ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার ভাষণের আগে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্মী সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিকে ফ্রান্সের সমাজ এবং গণতন্ত্রের জন্য ‘একটি সংকট’ আখ্যা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে ম্যায়ার। এ আন্দোলনকে দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য একটি বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্যারিসের একটি দোকান পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ওই দিন বিক্ষোভ ঠেকাতে সরকার দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ৯০ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছিল।
জ্বালানি তেলের ওপর বাড়তি কর এবং আরো কয়েকটি ইস্যু নিয়ে দেশটিতে চার সপ্তাহজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। টানা আন্দোলনের মুখে গত বুধবার ফ্রান্সেরপ্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপে বুধবার জানুয়ারিতে নতুন কর আরোপের পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দেয়।
কিন্তু এরপরও শনিবার রাস্তায় বিক্ষোভ করে প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে প্রায় ১৭শ’ জনকে। পুলিশসহ এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর প্রশাসনের অধীনে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে চার সপ্তাহ ধরে ছুটির দিনগুলোতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ নামে পরিচিতি পাওয়া আন্দোলনের আন্দোলনকারীরা।
হাই-ভিজিবিলিটি (স্বল্প আলোতে উজ্জ্বল দেখা যায়) জ্যাকেটের মতোই একটি হলদে-সবুজ জ্যাকেট পরে বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনে নেমেছে বলে এর নাম হয়েছে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন। ফরাসি আইন অনুসারে যে কোনো যানবাহনে এই পোশাকটি থাকা বাধ্যতামূলক।