আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পতন ঠেকাতে একটি তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
রবিবার সংগঠনটির ৫৭ সদস্য পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয় ।
প্রতিশ্রুত এ তহবিল ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (আইডিবি) মাধ্যমে মানবিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। যা দেশগুলোর পক্ষ থেকে তালেবান শাসকদের সাথে সরাসরি লেনদেন না করে দেওয়া হবে।
কয়েক মাস আগে মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের পতন এবং তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আফগানিস্তান নিয়ে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় বৈঠক।
ইসলামাবাদে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ইমরাম খান বলেন, যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, আফগানিস্তান বিশৃঙ্খলার দিকে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেছেন, গভীরতর সঙ্কট ব্যাপক ক্ষুধা, শরণার্থীর বন্যা এবং চরমপন্থার উত্থান ডেকে আনতে পারে।
“আমরা সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক মন্দার বিপদ উপেক্ষা করতে পারি না,” তিনি বলেন।
তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরাও ছিলেন বৈঠকে।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মোত্তাকি বলেন, তাদের সরকার আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তার পুনরুদ্ধার করেছে। নারীর অধিকার ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মানসহ বিভিন্ন দাবিও পূরণ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনকে প্রয়োজনীয় তহবিল মুক্তি এবং আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার জন্য পূর্বশর্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান।
ইমরান খান বলেন, যুক্তরাজ্য যেন আফগানিস্তান নাগরিক ও তালেবান সরকারকে এক করে না দেখে। পশ্চিমা দেশগুলি মানবাধিকারের যে ধারণা নিয়ে চলে, তা এখানকার বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিলবে না। প্রতিটি সমাজে মানবাধিকারের ধারণা আলাদা।
ওআইসি বৈঠক থেকে নতুন তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক দেয়া হয়নি।