সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রখ্যাত লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার অভিযোগে আটক তরুণকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার ঘটনাস্থল থেকে আটক ওই তরুণকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে র্যাব-৯ এর তত্ত্বাবধানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে নিয়ে অধিকতর চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শুরু হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ড. জাফর ইকবালের উপর হামলা চালানোর পর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয় আটক তরুণ। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এ আটকে রাখা হয়।
পরে একজন চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দেন। জ্ঞান ফেরার পর তাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃত তরুণের নাম ফয়জুল রহমান ওরফে ফয়জুল (২৪)। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাসিন্দা ফয়জুল। সে মাদ্রাসার ছাত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই মৌলবাদীদের হুমকির মধ্যে থাকা ড. জাফর ইকবালের উপর শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হামলার শিকার হন দেহরক্ষী বেষ্টিত কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ৬টার পরপরই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ-এ স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, শাবিপ্রবিতে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পেছন থেকে তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এক ব্যক্তি।
২০১৬ সালের অক্টোবরে জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের পরিচয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হত্যার হুমকির পর জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এই দম্পতি।
আগের বছর ২০১৫ সালে শাবিপ্রবিতে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে সস্ত্রীক সক্রিয় ছিলেন তিনি।সেসময় তার স্ত্রীসহ অন্য শিক্ষকরা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন।