চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে ফেরত দিতে হবে: নিউইয়র্ক টাইমসে জয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসে ৭ নভেম্বর প্রকাশিত জয়ের একটি লেখায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সামগ্রিক দিক তুলে ধরেছেন তিনি। এই লেখাতে খুনিদের ফিরিয়ে দেয়ার বহুদিনের দাবিপূরণ না হওয়ার ক্ষোভ জানিয়ে পলাতক খুনিদের অবশ্যই ফেরত দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

প্রকাশিত লেখার শুরুতেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার চিত্র তুলে ধরেন জয়। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয়ে ৪০ বছর ধরে নিরাপদে বসবাস করছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘ প্রচলিত বিচারে এই পলাতক খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। এমনকি সেনা সদস্য হিসেবে এই ঘৃণ্য অপরাধে তার কোর্ট মার্শালও হতে পারতো। অথচ ১৯৯৬ সাল থেকে পলাতক এই খুনিকে তার অপরাধের শাস্তি দিতে পারছে না বাংলাদেশ। তাকে দেশে ফেরাতে ২০০০ সালেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিলো। কিন্তু একযুগেরও বেশি সময় পাড় হলেও সেই আহ্বানে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি’।

nytimes-joy
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জন্ম নেয়া জয় লিখেছেন,‘ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আমার বয়স ছিলো ৪ বছর। তবে তাঁর এই মৃত্যু শুধু আমার এবং আমার পরিবারের জন্যই সব হারানো নয় বরং গোটা জাতিই শোকে স্তব্ধ হয়েছিলো’।

তারপরও খুনিদের রক্ষা এবং তাদের কূটনীতিক হিসেবে পুরস্কৃত করার কালো অধ্যায়ের কথাও উঠে এসেছে এই লেখায়।

১৯৯৬ সালে সেই কালো অধ্যায় দূর করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় বলে লিখেছেন জয়। খুনিদের বিচারে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন,‘ হত্যাকারীরা সেনা সদস্য হলেও স্বচ্ছতা এবং বিচারকে বিতর্কমুক্ত রাখতে সিভিলিয়ান কোর্টেই তাদের বিচার চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা’।

তিনি আরও লিখেছেন,‘ কিন্তু বিচার শুরুর আগেই সুযোগসন্ধানী অন্যান্য খুনিদের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালায় রাশেদ চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করলেও গা ঢাকা দেয়া এই খুনি রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে রাশেদ চৌধুরীর মতো খুনিকে আশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে’।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এই খুনিকে দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের আইনেও কোনো বাধা নেই।

জয় লিখেছেন,‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও ঘৃণ্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’।

মহিউদ্দীনকে যেভাবে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো সেভাবেই রাশেদ চৌধুরীকেও ফেরত দেয়া সময়ের দাবি বলে মনে করেন তিনি।

তাই খুনিদের ফেরত পেতে বাংলাদেশের বার বার করা অনুরোধ সাড়া দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জয়।