আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা চেপে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের এক সময়ের হাইতি প্রধানের যৌন কেলেঙ্কারির কথা গোপন রেখে তা অন্যান্য সংস্থাকে সতর্ক করেনি। ফলে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা বাংলাদেশে একটি সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
দি সানডে টাইমস জানায়, ২০১০ সালে হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কাজ করছিল ব্রিটেনের দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। হাইতিতে তারা একটি ভবন ভাড়া করে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কর্মকর্তারা ওই ভবনে যৌনকর্মী নিয়ে আসা, পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড, কর্মীদের হুমকি-ধামকিসহ নানা অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন।
অক্সফামের তৎকালীন হাইতি প্রধান রোলান্ড ভন হওয়ারমেরিনও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করার পর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। একই অভিযোগে কয়েকজনকে বরখাস্তও করা হয়। এছাড়া পদত্যাগ করেন আরো কয়েকজন।
তবে রোলান্ড ভন হওয়ারমেরিন ২০১২-১৪ মেয়াদে অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গারের বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করে গেছেন।
সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় অক্সফামের তৎকালীন প্রধান ডেম বারবারা স্টকিংকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন সেসময় ভন হওয়ারমেরিনকে বরখাস্ত করা হয়নি এবং কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছাড়াই তাকে পদত্যাগের সুযোগ দেয়া হয়েছিল?
জবাবে বারবারা স্টকিং বলেন, হাইতিতে সেসময় অনেক লোক মারা যায়। আমাদের সহায়তা কাজ তখন মধ্যপর্যায়ে। আর স্থানীয় অনেক মানুষ আমাদের সঙ্গে কাজ করছিল তখন। ঠিক সেসময় যদি আমরা এই যৌন কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস করতাম, তবে কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এছাড়াও স্থানীয় লোকজনও হয়তো রোষানলের শিকার হতো।
রোলান্ড ভন হওয়ারমেরিনকে বারবারা স্টকিং পদত্যাগের সুযোগ দিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তার জবাবে তিনি বলেন: আমাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছিল সেসময়, তাই ভন হওয়ারমেরিনকে আরো একমাস আমাদের দরকার ছিল।
এই ঘটনা কেন গোপন রাখা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে বারবারা স্টকিং বলেন, আমাদের তদন্ত শুরুর বিষয়ে এবং পাওয়া তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এটি কোন গোপন বিষয় নয়। আমাদের কর্মীদেরও বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিধি সম্পর্কে সতর্ক করেছি।
এ বিষয় নিয়ে তিনি মোটেও অনুপ্ত নন উল্লেখ করে বলেন, পরিস্থিতি তখন এমন জটিল ছিল যে, এর ব্যতিক্রম কোন কিছু আমি করতে পারতাম কিনা তা নিশ্চিত নই।