যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের পপ কনসার্টে হওয়া জোড়া বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২-এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
বিবিসি, সিএনএন ও গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৯ জন। গ্রেটার ম্যানচেস্টার জুড়ে মোট আটটি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর থেকে মোট ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স হতাহতদের বহনের কাজে নিয়োজিত ছিল বলে জানিয়েছে নর্থ ওয়েস্ট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসেস। এছাড়া অল্প আঘাত পাওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণের সময় কনসার্টে উপস্থিত অনেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন ওন্ধুরা।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলা ছিল বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাদের ধারণা, হামলাকারী একজন মাত্র ব্যক্তি ছিল। বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
হামলাটিতে কোনো বড় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সম্পৃক্ততা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পুরো গ্রেটার ম্যানচেস্টার জুড়ে সশস্ত্র পুলিশের টহল বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ওই অঞ্চলের চিফ কনস্টেবল ইয়েন হপকিন্স। এছাড়াও সাদা পোশাকেও পুলিশের সদস্য পুরো শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে।
বোমাতে পেরেক জাতীয় স্প্লিন্টার ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বনেতারা ম্যানচেস্টারে এ হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সময় সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সভাপতিত্বে ক্যাবিনেটের জরুরি প্রতিক্রিয়া কমিটি ‘কোবরা’র একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে ম্যানচেস্টার এরিনা সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া ট্রেন স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের বিরাট এলাকা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হওয়া বোমা হামলার পর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। ওই ঘটনায় ৫২ জন নিহত হয়েছিল।