পর্নস্টার স্টরমি ড্যানিয়েলকে মুখ বন্ধ করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ভাগ্য কী হতে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ডয়চে ভেলে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মামলায় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি ২০২৪ এর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন এবং ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার ম্যানহাটানের আদালতে হাজিরা দিতে হয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এবছরের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তবে ৩৪ ফেলোনি কাউন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে আছেন বেশ ঝামেলায়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টরমি ড্যানিয়েলের মুখ বন্ধ করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ তাকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই কথা গোপন রেখেছিলেন তিনি। অর্থাৎ, এই তথ্য তিনি উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন ড্যানিয়েল। নির্বাচনের আগে সেই অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, তথ্য গোপন রেখে ট্রাম্প অর্থ দিয়েছিলেন।
আইনজীবীর বক্তব্য, সেই সময় ট্রাম্পের আইনজীবী ছিলেন মিশেল কোহেন। তার হাত দিয়েই ড্যানিয়েলকে অর্থ পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আদালতে প্রসিকিউটার অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বেআইনি পথ অবলম্বন করেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে অর্থ খরচ করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা বক্তব্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে।
আগামী দু’মাস ধরে আদালতে এই মামলার শুনানি চলতে পারে। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে নির্বাচনি জনসভায় না গিয়ে ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচার থেকে আমায় সরানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এভাবে আমায় হারানো যাবে না।’