চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডব এবার উখিয়া সীমান্তে

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রুর পর এবার উখিয়া সীমান্তেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডব চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা গোলাগুলির শব্দ পান। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বান্দরবানের তুমব্রুর পর এবার আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে তারা যাতে ভয়ে না থাকেন, সেজন্য বোঝানো হচ্ছে। বিষয়টি সীমান্ত বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। এখানে সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের বাসিন্দা রহিম উল্লাহ বলেন, ‘গণমাধ্যমে বেশ কদিন ধরেই খবর পাচ্ছি সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। আজ সকালে আমাদের আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের এলাকার মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।’

একই এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন,মঙ্গলবার সকালে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার পর ওপার থেকে গুলির বিকট শব্দ পাওয়ার পর কাজ পেলে বাড়িতে চলে আসি।আমরা খুবই আতংকের মধ্যে আছি।

সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল ও গোলার আঘাতে শূন্যরেখার একজন রোহিঙ্গা নিহতসহ ছয় জন আহত হয়েছেন। এর আগে মর্টারশেল ও গোলার ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চারবার তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্ত এরপরও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আজকেও সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে মার্টারশেলের শব্দ এপারের স্থলভূমি কেঁপে ওঠে। মনে হচ্ছে মর্টারশেল এখানে পড়ছে। এমন অবস্থায় সীমান্তের বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছেন।’

গত জুলাই থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্য। সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে, তিন দফায় মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপিত হয়েছে বান্দরবানের ঘুমধুমে।