চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অভিনেতা খলিল উল্লাহ চলে যাওয়ার সাত বছর

পর্দা কাঁপিয়ে একসময় অভিনয় করতেন ‘মিয়ার ব্যাটা’ খ্যাত খলিল উল্লাহ খান। এই অভিনেতা চলে যাওয়ার সাত বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর)। ২০১৪ সালের এদিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় আটশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেতা। বৈচিত্রময় নান্দনিক অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে খলিল উল্লাহ খান বাংলা চলচ্চিত্রকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

সহজাত অভিনয় প্রতিভার গুণে এ দেশের চলচ্চিত্র দর্শকদের মন জয় করেছিলেন অভিনেতা খলিল। শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ নাটকে মিয়ার ব্যাটা চরিত্রে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।

খলিল অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মঞ্চ নাটক দিয়ে। সিনেমার সফলতা তাকে ছুঁয়ে গিয়েছিলো। পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও সফল হয়েছিলেন।

২০১২ সালে এই গুণী শিল্পী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।

সিনেমায় খলিলের যাত্রা শুরু হয়েছিলো নায়ক হিসেবে। নায়ক থেকে খলনায়ক হতে কম শিল্পীকেই হতে দেখা গিয়েছিলো এ দেশের সিনেমায়। যা খলিল করে দেখিয়েছিলেন। নায়ক হিসেবে প্রথম অভিনীত সিনেমার নাম- ‘সোনার কাজল’।

খলিল অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমার মধ্যে রয়েছে- পুনম কি রাত, তানসেন, পাগলা রাজা, নদের চাঁদ, বেঈমান, ফকির মজনু শাহ, আলোর মিছিল, মেঘের পরে মেঘ, মিন্টু আমার নাম, এতোটুকু আশা, বিনি সুতার মালা, মধুমতি, কার বউ, ভাই ভাই, নবাব সিরাজ উদ দৌলা (রঙিন), মাটির পুতুল ইত্যাদি।

৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয় করে গেছেন। অভিনয় জীবনে কখনও বিরতি নেননি। অভিনয় ছাড়া তিনি একটি মাত্র সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন। তার পরিচালিত সিনেমাটির নাম- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’। একই সাথে দুটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছিলেন খলিল। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন।