সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে সমস্যার কারণে ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। লিভারপুল সমর্থকদের অনেকেই স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। বাহিরে ভিড় করে ছিলেন তারা।
অলরেড সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে একসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। এসময় সমর্থকদের মুখ-নাক ঢেকে রাখতে দেখা যায়। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে পিপার স্প্রেও ছুঁড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ উল্লেখ করে উয়েফা কিক-অফকে ৩৬ মিনিট বিলম্ব করে। অনেক দর্শক দাবি করেছেন, তারা কিক-অফের কয়েকঘণ্টা আগেই স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় বাধার মুখে পড়েছিলেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে লিভারপুল। বলেছে, ‘স্তাদে দে ফ্রান্সে ম্যাচের সন্ধ্যায় লিভারপুল সমর্থকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় সমস্যার মুখোমুখি হওয়া এবং নিরাপত্তা বলয় ভেঙে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত হতাশ।’
‘এটি ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যাচ এবং আজ রাতে সমর্থকদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমরা যে দৃশ্য দেখেছি, তা অনুচিত হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই অগ্রহণযোগ্য সমস্যার কারণগুলোর জানার জন্য তদন্তের অনুরোধ করছি।’
ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা পরে বলেছে, তারা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতিশীল। ফরাসি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ, ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সাথে জরুরিভাবে এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে।
‘লিভারপুলের গ্যালারির দিকে থাকা ছোট দরজাগুলো হাজার হাজার ভক্তের চাপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল, যারা জাল টিকিট কিনে এসেছিল, তাদের দ্বারা বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দরজাগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করেনি।’
‘এটি ভক্তদের ঢোকার চেষ্টায় ভালোভাবেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যার ফল, প্রকৃত টিকিটধারী সমর্থকদের যতটা সম্ভব প্রবেশের সুযোগ দিতে কিক-অফ ৩৬ মিনিট বিলম্বিত করা হয়েছিল।’
‘কিক অফের পর স্টেডিয়ামের বাইরের সমর্থকদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে এবং স্টেডিয়াম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।’
খেলার শুরুতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর সুষ্ঠুভাবেই শেষ হয়েছে। লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।