নেপালের পোখারায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিধ্বস্তের ঘটনায় ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ৬৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও পাওয়া যায়নি ৪ জনের সন্ধান।
গতকাল অন্ধকার নেমে আসলে নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়। সোমবার পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট উড়োজাহাজ এটিআর ৭২-৫০০ পর্যটন নগরী পোখরায় অবতরণের চেষ্টার সময় বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ১৫ বছরের পুরনো।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারাগামী অভ্যন্তরীণ রুটের ওই উড়োজাহাজটিতে ৭২ আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী, বাকিরা ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক। তাদের পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, দুজন সাউথ কোরীয় এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার একজন করে।

এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। আরও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেপাল বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র।
রোববারের এই দুর্ঘটনার পর ইয়েতি এয়ারলাইন্স আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের সব নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে।
ঘটনা খতিয়ে দেখতে নেপাল সরকার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে এবং আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিন দশকের মধ্যে এটাই নেপালে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা। এর আগে ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩০০ কাঠমান্ডু যাওয়ার সময় পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৭ আরোহীর সবাই মারা গিয়েছিলেন।
আর ২০১৮ সালের ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় বাংলাদেশের বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ৫১ জন প্রাণ যায়।