প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এবারও তাদের কাঁধেই হার এড়ানোর গুরুদায়িত্ব। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ করেছেন তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৪ রান। মুশফিক ১৪ ও লিটন ১ রানে অপরাজিত। শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখনও স্বাগতিকরা পিছিয়ে ১০৭ রানে। পঞ্চম দিনে মুশফিক-লিটনের ব্যাটে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
এদিন একই টেস্টের দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার তিক্ত স্বাদ পান তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে আসিথা ফার্নান্দোর বলে আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন একই পেসারের বলে।
আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১৫ রানে ফেরেন ফার্নান্দোর বলে। নাজমুল হোসেন শান্ত (২) রান আউট হন। অফফর্মে থাকা অধিনায়ক মুমিনুল হক রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে পাঁচশ পেরিয়ে থামে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা পায় ১৪১ রানের লিড।
৩৪২ বলে ১৪৫ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। সাকিব আল হাসান পাঁচটি ও ইবাদত হোসেন নিয়েছে চার উইকেট।
১৬৫.১ ওভার ব্যাটিং করে ৫০৬ রানে তুলে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দো হন রান আউট।
দিনের প্রথম দুই সেশনে শ্রীলঙ্কার উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। চা-বিরতির পর দিনেশ চান্দিমালকে (১২৪) তামিমের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেক-থ্রু এনে দেন ইবাদত। ভাঙে ১৯৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
খানিকপর আঘাত হানেন সাকিব। পরে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। এই নিয়ে টেস্টে ১৯তম বার ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন বাঁহাতি স্পিনার।