ইংল্যান্ডের পেস-অলরাউন্ডার ডেভিড জনাথন উইলি চলতি বিশ্বকাপ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়েছেন। ইসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে না রাখাটা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠুকে দিয়েছে, ৩৩ বর্ষী ইংলিশম্যানের অভিযোগ এমন।
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চলতি বিশ্বআসরের স্কোয়াডে থাকা একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তি থেকে বাদ পড়ায় বিচলিত, রাগান্বিত এবং হতাশ হয়েছেন উইলি। ঘটনাটি অবসর নেয়ার সিদ্ধান্তকে সহজ করেছে, ব্রিটিশ গণমাধ্যমে বলেছেন তিনি।
‘এটি আমার জন্য সম্ভবত কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়া ছিল। এটা আমার সিদ্ধান্ত নেয়াকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ভারতে যাওয়ার আগে জানতাম আমিই স্কোয়াডে থাকা একমাত্র ব্যক্তি যে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। এটা মেনে নেয়া কঠিন ছিল।’
‘চোট বা যাই হোক না কেন, আমি গত ১২ মাসের মধ্যে দুটি (টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে) বিশ্বকাপে থাকায় স্কোয়াডে আমার অবস্থান জেনে অনুভব করেছিলাম একটি সুযোগ পাওয়ার দাবিদার আমি। মনে হতো সবসময় আমার সুযোগ আছে।’
‘কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের কীভাবে নির্বাচন করা হয় জানি না, তাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার একমত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমাকে তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। চারপাশের পরিস্থিতি অনুভবের উপর ভিত্তি করে নিজের সিদ্ধান্ত নেই।’
‘আমি বিরক্ত, রাগান্বিত, হতাশ ছিলাম। কিন্তু যেমন বললাম, তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আমার না থাকাটা অবসরের সিদ্ধান্তকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।’
‘গত ছয় থেকে আট মাসে, অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে থাকা নিশ্চিত করা আমার জন্য সবসময়ই কঠিন ছিল এবং আমি কোনো নিশ্চয়তা গ্যারান্টি পাইনি। প্রতিবার দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবার উদ্বেগ বেড়েছিল।’
‘এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য মরিয়া ছিলাম এবং এখানে এসে দারুণ লেগেছিল। কিন্তু জানেন যে, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। অনুভব করেছি ,আমি পুরোটাই নিংড়ে দিয়েছি এবং আর এটা করতে পারবো না।’
চলতি বিশ্বকাপের শুরুতে একাদশে স্থান পাননি উইলি। দলে আসার পর ইংলিশদের সেরা পারফর্মারদের একজন তিনি। ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। যদিও থ্রি-লায়ন্সদের বিশ্বকাপ কার্যত সেমফাইনালের আগেই শেষ, এটিকে অবসর ঘোষণার উপযুক্ত সময় হিসেবেই মনে করছেন।
‘ক্রিকেটে আপনার জন্য সঠিক সময় হলে চলে যাওয়ার খুব বেশি বিকল্প নেই। সত্যিই আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলাম। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় ভাবলাম, আমার কাজ সমাপ্ত।’
এপর্যন্ত ইংলিশদের হয়ে আট বছরে উইলি ৭০টি ওয়ানডে এবং ৪৩টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন। ওয়ানডেতে ৯৪ উইকেট এবং টি-টুয়েন্টিতে ৫১ উইকেট নিয়েছেন। ওয়ানডেতে গড় ২৬ এবং স্ট্রাইকরেট ৯৩। তবে টি-টুয়েন্টিতে গড় মাত্র ১৫ হলেও স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৩১।