মহান স্বাধীনতা এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুকৌশলে কটাক্ষ করে স্বাধীনতা দিবসেই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের নিন্দা, প্রতিবাদ এবং উক্ত সংবাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি জানান, মহান স্বাধীনতা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিযাত্রার ব্যাপারে কৌশলে গণমানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা প্রোথিত করার অপপ্রয়াস সম্বলিত এই সংবাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষক সমাজসহ দেশের সকল সচেতন নাগরিক তাঁদের বিশ্লেষণধর্মী মতামত অব্যাহতভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছেন। কিন্তু চবি শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে দেশ-বিদেশ থেকে সম্প্রচারিত কিছু গণমাধ্যমের টকশোতে অংশগ্রহণকারী কিছু সঞ্চালক ও আলোচক চরম আক্রমনাত্মকভাবে শিক্ষক সমাজকে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন যা কেবল হাস্যকর নয় বরং জাতির জনক প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর মূলনীতির সাথে পরিপুণভাবে সাংঘর্ষিক।
এমতাবস্থায় টকশো কিংবা অন্য কোন আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সম্মানিত আলোচকগণকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণসহ দেশের অন্য কোন পেশাজীবী সংগঠন বা সচেতন নাগরিকের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বিবৃতি কিংবা মতামতের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সাধারণ শিষ্টাচার বজায় রাখার পাশাপাশি শব্দচয়ন ও বাচনভঙ্গির প্রতি বিশেষ মনোযোগ রাখার জন্য চবি শিক্ষক সমিতি সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছে। চবি শিক্ষক সমিতি আলোচ্য সংবাদে মহান স্বাধীনতার ব্যাপারে দেশবাসীর মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরির এই প্রচেষ্টা দেশবিরোধী গভীর কোন চক্রান্তের অংশ বলে প্রতীয়মান হলেও দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এ ব্যাপারে যথে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার আহ্বান সহকারে এক্ষেত্রে আবেগের চেয়ে বিদ্যমান আইনি উপাদানকে অধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছে।
অন্যথায় এর ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে পুঁজি করে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি সংকট তৈরি করে তাদের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা হলেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে যা দেশ ও জাতির জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়।
মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।