শিখর ধাওয়ান ও প্রভসিমরান সিংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে বড় স্কোর পায় পাঞ্জাব কিংস। তবে উত্তেজনাপূর্ণ হাই স্কোরিং ম্যাচে মাত্র ৫ রানের জয় পেয়েছে পাঞ্জাব।
বুধবার রাতে বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করা বেঙ্গালোর ৪ উইকেটে ১৯৭ রান করে। জবাবে রাজস্থান ৭ উইকেটে ১৯২ রানে থামে।
বেঙ্গালোরের দুই ওপেনার ধাওয়ান ও প্রভসিমরান গড়েন ৯০ রানের জুটি। ৩৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছকায় ৬০ রানের ইনিংস খেলা প্রভসিমরানের উইকেট তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। লং অফে জস বাটলার ধরেন ক্যাচ।খানিক পর ভূমিকা রাজাপাকসে এক রান করার পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যান ধাওয়ান। সময় উপযোগী ইনিংস খেলে ১৬ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিতেশ। সিকান্দার রাজা এক রানের বেশি করতে পারেননি, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে হন বোল্ড।
চতুর্থ উইকেটে শাহরুখ খানকে নিয়ে ৩৭ রান যোগ করে ধাওয়ান দলের স্কোর দুইশর কাছাকাছি নেন। শাহরুখ ১১ রান করে বাটলারের তালুবন্দি হন।
পাঞ্জাবের অধিনায়ক ধাওয়ান ৫৬ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে নেমে এক রান করেন স্যাম কারেন।
রাজস্থানের পক্ষে হোল্ডার নেন ২ উইকেট। অশ্বিন ও চাহাল একটি করে উইকেট তোলেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ রানের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল ও অশ্বিনের উইকেট দ্রুতই হারায় রাজস্থান। তৃতীয় উইকেটে বাটলারকে নিয়ে পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করেন সাঞ্জু স্যামসন। ১৯ রান করা বাটলার নাথান এলিসের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দারুণ খেলতে থাকা স্যামসন ২৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করে এলিসের শিকার হন। দলীয় রান তখন ১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৯১। এরপর ১২ বলে ২০ রান করা রিয়ান পরাগকেও সাজঘরে ফেরান এলিস। ২১ রান করা দেবদূত পাডিকলকে বোল্ড করে অজি পেসার নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার করেন।
সপ্তম উইকেটে খেলা জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেন শিমরন হেটমায়ার এবং ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা ধ্রুব জুরেল। শেষ দুই ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান।
আর্শদ্বীপ সিংয়ের করা ১৯ তম ওভারটি ছিল ঘটনাবহুল। দ্বিতীয় বলে চার, তৃতীয় বলে ছক্কা ও চতুর্থ বলে আবারো চার মারেন জুরেল। পঞ্চম বলে জুরেল রানআউট হওয়া থেকে বেঁচে গেলে হয় এক রান। ওভারের শেষ বলে হোল্ডারের ক্যাচ ফেলে দেয়ার সুবাদে হয় দুই রান। ফলে শেষ ওভারে রাজস্থানের দরকার পড়ে ১৬ রান
স্যাম কারেনের শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে চার রানের বেশি আসেনি। সমীকরণ তখন দাঁড়ায় ৩ বলে ১২ রান। চতুর্থ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন হেটমায়ার। ভেঙ্গে যায় ৬২ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ক্যারিবীয় ব্যাটার ৮ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস।
পঞ্চম বলে হোল্ডার এক রানের বেশি তুলতে পারেননি। জুরেল শেষ বলে ৪ মারলেও জয়ের খুব কাছে গিয়েও পরাজয়ের স্বাদ পায় রাজস্থান। ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন জুরেল।