নেত্রকোনা প্রতিনিধি: কবি হেলাল হাফিজের বিদ্যাপীঠে বৃক্ষতলে ৭৬তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে আড্ডায় আড্ডায় কবিতা পাঠ ও অভিব্যক্তি প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবি হেলাল হাফিজ চত্বরে প্রতিবারের মতো এবারো গান, কবিতায় কবিকে স্মরণ করলো নেত্রকোনাবাসী।
বাংলাদেশের আধুনিক কবি ও তারুণ্যের প্রতীক কবি হেলাল হাফিজের ৭৬তম জন্মদিনে শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শহরের কবি সাহিত্যিক শিল্প সংস্কৃতি অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আগুনের পরশমণি’ রবীন্দ্রসংগীতটি দলীয়ভাবে পরিবেশন করেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলপনা বেগমের পরিচালনায় অতিথিরা কেক কাটেন এবং কবিকে নিয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন কবির শৈশবের বন্ধু, পরিবার-পরিজন ও সুধীজনরা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিদ্যাপীঠের নবনির্বাচিত গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসিত সরকার সজলের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবীর সাজু, উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান, ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের কবি স্বাধীন চৌধুরী, কবির কনিষ্ঠ ভাই জামাল হাফিজ, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর হারাধন সাহা, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট পূরবী কুন্ড, শিক্ষক পূরবী সম্মানিত, সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ ইমরান, কবি তানভীর জাহান চৌধুরী,কবি সাইফুন নাহার, আবৃত্তিশীল্পী তরুময় বিশ্বাস পাভেলসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্ম গ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার কবিতা সংকলন ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ৩৩টিরও বেশি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কবিতা একাত্তর। তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’;- এ কবিতার দুটি পঙ্ক্তি ‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে থাকে। তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কাজ করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।