চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রুপনার দৃঢ়তায় ভারতকে রুখে দিল বাংলাদেশ

একের পর এক আক্রমণে ম্যাচের শুরুতে ছন্দহীন ছিল স্বাগতিকরা। সময় যতো গড়িয়েছে ততই বেড়েছে ম্যাচের উত্তেজনা। শেষের দিকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবশ্য দেখা যায়নি গোলের দেখা। গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। দারুণ সব সেভ করে ম্যাচের সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।

দুই ম্যাচে বাংলাদেশ এবং ভারতের পয়েন্ট সমান ৪। নেপালের পয়েন্ট ৩, ভুটানের শূন্য। ৭ ফেব্রুয়ারি ভুটানের বিপক্ষে ড্র করলেই ফাইনালের টিকিট কাটবে গোলাম রব্বানি ছোটনের দল।

রোববার সন্ধ্যায় কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচের শুরু থেকে ভারত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। চার মিনিটের মাথায় ডি বক্সে ঢুকে শট নেন সুমতি কুমারী। বাংলাদেশি গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ঝাপিয়ে বল ধরার চেষ্টা করেন। প্রথমে বল হাত ফসকে গেলেও পরেরবার ধরতে ভুল করেননি।

তিন মিনিট পর বাংলাদেশের রক্ষণভাবে আবারও ভয় ধরান সুমতি। তার নেয়া শট রুপনা যেভাবে পা দিয়ে ঠেকান, তাতে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সেই দারুণ সেভের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছিল।

১৪ মিনিটে লাল-সবুজের দলকে আবারো রক্ষা করেন রুপনা। প্রতিপক্ষ দলের শুভাংগি সিংয়ের কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে হেড নিয়েছিলেন সুনিতা মুন্ডা। চমৎকারভাবে বল গ্লাভসবন্দি করেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক।

আক্রমণে পর আক্রমণ করতে থাকা টিম ইন্ডিয়া ১৯ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। সুমতির হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বেরিয়ে যায়।

২৬ মিনিটের মাথায় গোলাম রব্বানি ছোটনের দল প্রথম গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। স্বপ্না রানির কর্নার কিকে কেউ হেড নেয়ার অবস্থানে না থাকায় ফল আসেনি। মিনিট দুয়েক পর ভারতের অধিনায়ক মার্টিনা থকচোমের দুরপাল্লার শট রুপনার ধরতে অসুবিধা হয়নি।

কর্নার কিক থেকে পাওয়া বলে কাজল বল জালে জড়ালেও ৩০ মিনিটে লিড পায়নি ভারত। কারণ কর্নার কিকটি নেয়ার সময় জায়গা মতো বল বসানো হয়নি। গোললাইনের বাইরে বল থাকায় গোলকিকের বাশি বাজে।

খেলার ৩৩ মিনিটে স্বপ্নার নেয়া কর্নার থেকে বল আদায় করে দুরন্ত এক ভলি করেন সুরমা জান্নাত। অল্পের জন্য পোস্টের উপর দিয়ে বল পার হয়। পাচ মিনিট পর শাহেদা আক্তার রিপার দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বিরতির আগে ৪৫ মিনিটে অপর্ণা নারজারি ডি বক্সে হেড নিতে যাওয়ার আগ মুহুর্তে ফিস্ট করে রুপনা জাল অক্ষত রাখেন।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৮ মিনিটে সামসুন্নাহার জুনিয়রের হেড লক্ষ্যে না থাকায় ডেডলক ভাঙেনি। দুই মিনিট পর শুভাংগির কর্নার কিকে কাজলের শটে বল ধরেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক।

খেলার ৬২ মিনিটে সুনিতার ক্রসে কিক নেন শাইলজা। পোস্টের উপর দিয়ে বল পেরিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে অধিনায়ক সামসুন্নাহারের কিক পোস্ট ঘেসে বেরিয়ে গেলে গ্যালারিতে থাকা জনতার হতাশা বাড়ে। যদিও অফসাইডের পতাকা উঠেছিল। ৭৮ মিনিটে কর্নার কিকে বল আদায় করা সামসুন্নাহারের শট উপর দিয়ে গেলে গোলের জন্য সবার অপেক্ষা বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে অপক্ষোর অবসান হয় রেফারির বাঁশিতে গোল শূন্য সমতায়।