রানে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি বাংলাদেশের মেয়েদের কেউই, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০ ওভারের ক্রিকেটে এনেছেন নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের হতাশা। স্বাগতিকদের ১৬৪ রানের লক্ষ্যে এগোতে গিয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা থেমেছেন ৩২ রানে। হার ১৩২ রানের।
ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখানোর পর বোলিংয়ে রুদ্রমূর্তি দেখিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। লে তাহুহু ও হেইলি জেনসেনের তোপে সালমা-নিগারারা ধুঁকেছেন ব্যাট হাতে, অঙ্কের ডিজিটে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। টি-টুয়েন্টিতে এরআগে পাকিস্তানের বিপক্ষে কক্সবাজারে ৩০ রানে অলআউটের লজ্জা পেয়েছিল টাইগ্রেস দল। অল্পের জন্য সেটা পেরোনো গেছে।
শুক্রবার কিউইদের হয়ে দুর্দান্ত শুরু আনেন অধিনায়ক শোফি ডেভিন ও সুজি বেটেস। প্রথম দশ ওভারে দুজনে আনেন ৮৪ রান। ফেরার আগে সুজি আনেন ৩৩ বলে ৪১ রান, ১২৪.২৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালানো ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।
তৃতীয় উইকেটে অ্যামিলা কের আনেন ২৭ রান। জাহানারার বলে ফেরার আগে অধিনায়ক সোফি যোগ করেন দলের সর্বোচ্চ ৪৫ রান। ৩৪ বলের ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারদের তিনি ছয়বার পাঠিয়েছেন সীমানা দড়ির বাইরে।
চতুর্থ উইকেটে ৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সংগ্রহ দেড়শ ছাড়িয়ে দেন ম্যাডি গ্রিন ও লে তাহুহু। গ্রিন ২৩ বলে আনেন ৩৬ রান। বোলিংয়ে দাপট দেখানো তাহুহু করেন ৯ বলে ১৩।
জবাবে বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারানো দল খেলতে পেরেছে পনের ওভার পর্যন্ত। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান এনেছেন মিডলে নামা রিতু মনি, ১৭ বলে করেছেন ৬ রান। সমান অতিরিক্ত রান দিয়েছে কিউই বোলাররা।
বাংলাদেশের মেয়েদের টপ, মিডল হয়ে লোয়ার অর্ডারের সবাই ধুঁকেছেন। দুই ওপেনার এনেছেন মোটে ৫ রান। শুরুর পাঁচ ব্যাটার এনেছেন ১০ রান।
৪ ওভারে ৬ রানে ৪ উইকেট তুলে ধসিয়ে দেয়ার মূল কাজটি করেছেন ডানহাতি পেসার তাহুহু। ৩ ওভারে ৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলেছেন জেনসেন। দুই রানে ২টি উইকেট ফ্রান জোনাসের।
তিন ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয়টি ডানেডিনে, ৪ ডিসেম্বর। শেষ টি-টুয়েন্টিতে ৭ ডিসেম্বর কুইন্সটাউনে নামবে নিগারের দল। এরপর ৩টি একদিনের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে টিম টাইগ্রেস।