বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আটকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন: পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশ হত্যা মামলাসহ সম্প্রতি অনেকগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে যে কোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, নাশকতার মামলার আসামি আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে ভেতর থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। আটকের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ডিবিতে নেওয়া হয়। রাতে তিনি ডিবির হাজতে থাকবেন।
ডিএমপি জানায়, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার মামলায় আমির খসরুকে আসামি করা হয়েছে। খসরু ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই দিন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হন। পরে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নয়া পল্টনের স্টেজে ছিলেন আমীর খসরু। তবে সমাবেশ পন্ড হওয়ার পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। সমাবেশের পরদিন রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি ও জামায়াত সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। ওই দিন রাজধানীতে ও লালমনিরহাটে দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ৩ দিনের অবরোধ পালন করে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।