চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রথম সিজনেই থেমে গেল নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘১৮৯৯’র পথচলা

‘যদি দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সিজনের পরে দারুণ এই পথচলার শেষ হতো, তাহলে ভালো লাগতো, কিন্তু মাঝে মাঝে সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয় না। এটাই জীবন।’ এমনই এক ঘোষণার মাধ্যমে নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘১৮৯৯’-এর ইতি টানলেন শো রানার বারান বো ওডার ও জান্টসে ফ্রিসে। সোমবার ইনস্টাগ্রামে এই ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ইনস্টাগ্রামে দেয়া বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা জানাচ্ছি যে ১৮৯৯ নতুন করে আসবে না আর।’

আরও লেখা হয়েছে, ‘আমরা জানি লাখো ভক্তদের মন ভেঙে যাবে। তবে আমরা আপনাদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের এই সুন্দর অ্যাডভেঞ্চারে পাশে থাকার জন্য। আমরা আপনাদের ভালোবাসি। আমাদের ভুলবেন না কখনো।’

২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর ৮ পর্বের এই সিরিজ শুরু হয়েছিল। ওয়েব সিরিজের গল্প লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে এক স্টিমশিপের অভিবাসী যাত্রীদের মাঝ সমুদ্রে এক রহস্যময় ধাঁধায় জড়িয়ে পড়া নিয়ে।

প্রমিথিউস নামক একটি জাহাজ সমুদ্রে হারিয়ে যায়। জাহাজে ১,৪২৩ জন যাত্রী এবং ৫৫০ জন ক্রু ছিলো। এত বড় একটি জাহাজ ও জাহাজে থাকা এত মানুষ হঠাৎ করে সমুদ্রে গায়েব হয়ে যায়।

জাহাজটি গায়েব হওয়ার চার মাস পরে ইংল্যান্ড থেকে কেরবেরোস নামের একটি জাহাজ সমুদ্রপথে অভিবাসীদের নিয়ে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়। জাহাজটি যখন মাঝপথে তখন আশেপাশে থাকা একটি জাহাজের সংকেত আসতে থাকে। জাহাজের ক্যাপ্টেন সেই সংকেত থেকে বুঝতে পারে যে এই সংকেতটি চার মাস আগে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া প্রমিথিউস জাহাজ থেকে আসছে।

কেরবেরোস জাহাজের ক্যাপ্টেন তার সাথে কয়েকজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে প্রমিথিউস জাহাজটিতে যায়। সেই জাহাজে তারা কোন মানুষের চিহ্ন পায়না। পুরো জাহাজ পর্যবেক্ষণ কালে তারা ১০-১২ বছরের একটি বাচ্চাকে বন্দী অবস্থায় দেখতে পায় এবং তাকে তারা উদ্ধার করে কেরবেরোস জাহাজে নিয়ে আসে। উদ্ধার করা বাচ্চাটিকে প্রমিথিউস জাহাজ এবং জাহাজের যাত্রীদের গায়েব হওয়ার রহস্য জানতে চাইলে বাচ্চাটি কিছুই বলেনা। এদিকে বাচ্চাটিকে কেরবেরোস জাহাজে আনার পর এই জাহাজের এক মেয়ে শিশু মারা যায়। ঘটতে থাকে রহস্যময় সব ঘটনা।

প্রথম সিজনে বেশ কিছু রহস্যের উত্তর পাওয়া যায়নি। দর্শকের আশা ছিল দ্বিতীয় সিজনে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। কিন্তু তা আর হলো না!

সূত্র: হলিউড রিপোর্টার