‘চুম্বক কম্পাস কেন উত্তর দিকে নির্দেশ করে থাকে? কারণ দক্ষিণ দিকে রজনীকান্ত বাস করেন, আর কম্পাস তার দিকে নির্দেশ করার সাহস পায় না!’ কিংবা ‘টাইটানিক ছবিতে রজনীকান্ত থাকলে কী ঘটতো? অবশ্যই তিনি এক হাতে নায়িকাকে নিয়ে আটলান্টিক পার করে ফেলতেন, এবং তার অন্য হাতে থাকতো টাইটানিক’।
দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার রজনীকান্তকে নিয়ে আছেন এমন আরো অসংখ্য জোকস!
তাকে নিয়ে যতোই কৌতুক হোক, কিংবা সিনেমায় তার চরিত্র নিয়ে মানুষ যতো মজাই করুক কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দর্শক তথা পুরো বিশ্বের কাছে তিনি সত্যিকারের সুপারস্টার! কারণ সিনেমার নায়কের মতো তার ব্যক্তি জীবনেও আছে সংগ্রামের অতীত!
১২ ডিসেম্বর ৭০ বছরে পা রাখলেন এই সুপারস্টার। কিন্তু বয়সের এই চাপে কখনোই ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়নি ‘থালাইভা’কে। কেননা বয়সকে স্রেফ সংখ্যায় পরিণত করেছেন চিরসবুজ রজনীকান্ত। এখনো অ্যাকশন দৃশ্যে সমানতালে দুর্দান্ত অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি।
রজনীকান্তের ৭০তম জন্মদিনে তাকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সংগীতজ্ঞ এ আর রহমান, অভিনেতা সুনীল শেঠি, অদিতি রাও হায়দারি, রাঘব লরেন্স, দুলকার সালমানসহ আরো অনেকেই।
এছাড়াও সামাজিযোক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা পোস্ট দিয়ে লাখো ভক্ত প্রিয় তারকার বিশেষ দিনটি উদযাপন করছেন।
টুইটে অভিনেতা তথা রাজনৈতিক এই ব্যক্তিত্বের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘প্রিয় রজনীকান্ত জি, আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা! আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি।’
অন্যদিকে এ আর রহমানও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রজনীকান্তের উদ্দেশে টুইটারে লিখেছেন, ‘তাঁর ৭০ তম জন্মদিনে সিডিপি প্রকাশ করার জন্য তাঁর ভক্তদের অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্মদিন এবং সুস্বাস্থ্যের শুভেচ্ছা”!
১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ‘থালাইভা’। জন্মসূত্রে তার নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। একসময় কাজ করেছেন বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন করপোরেশনের বাসের সহকারী হিসেবে। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে মাদ্রাজ যান ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে অভিনয়ের ওপর ডিপ্লোমা করতে।
এরপর ১৯৭৫ সালে তিনি চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তামিল সিনেমা ‘অপূর্ব রাগাঙ্গল’-এর মাধ্যমে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সিনেমায় অভিনয় করতে করতে একসময় রজনীকান্ত হিসেবে পরিচিতি পান। সেই সাথে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য দেশের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।
‘শিবাজি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ৮.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্মানী নিয়ে তিনি জ্যাকি চ্যানের পর এশিয়ার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়া তারকার তালিকায় নাম লেখান।