মনোয়ার হোসেন মান্না: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ৭ মার্চ দিনটি ছিলো রোববার। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো। বঙ্গবন্ধু ৩টা ১৫মিনিটে মঞ্চে উঠে বললেন-‘ভায়েরা আমার।’ আগে বলতাম এটি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠতম ভাষণ। এখন বলি এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘৭ই মার্চ উদযাপন কমিটি’ আয়োজনে ৭ মার্চের ভাষণ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতিতে ‘সর্বস্তরের জনগণের সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সামনে দুটো পথ খোলা ছিলো। একটা হলো- বিচ্ছিন্নবাদী হওয়া আর অন্যটা স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে দুই কূলই বজায় রেখেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেনি, এটি জাতিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতও করে।
তিনি আরও বলেন, আজ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের পতাকা তুলে দিয়েছিলো। আর আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ৯১ তে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে দেয়নি। আজ সেই ভাষণ সংবিধানের অংশ।
তিনি বলেন, বাঙ্গালি জাতি শেখ হাসিনার কাছে ঋণী। বঙ্গবন্ধু জাতির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছেন আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে জাতীয় সংগীতের পর ফকির আলমগীর সম্মিলিত কণ্ঠে ‘একটি কণ্ঠে বেজে উঠেছিলো জাতির কণ্ঠস্বর’ গান পরিবেশন করেন। এছাড়া কবি রফিকুল ইসলাম নির্মলেন্দু গুণের কবিতা-‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতা আবৃত্তি করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক আবেদ খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম, প্রজন্ম ৭১এর সভাপতি শাহীন রেজা নূর, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রমুখ।