২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যে গার্মেন্টস সেক্টরের
জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও গবেষণায় কাজ করবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর
বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি বা সিবাই। সংস্থার প্রথম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিবাই যেমন কাজ করবে, তেমনি সম্ভাবনার পথও দেখাবে।
সোমবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে যাত্রা শুরু করা সেন্টার অব এক্সিলেন্স সিবাইয়ের প্রথম বোর্ড সভা হয় ইমপ্রেস গ্রুপের বোর্ড রুমে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন,এখানে সম্পূর্ণ অ্যাপারেল নিয়ে গবেষণা হবে।
এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমি মনে করি আমাদের জন্য এই উদ্যোগটা খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের যে দক্ষতা কম তার উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের বাইরে পাঠাবো নাকি দেশের প্রতিষ্ঠানেই তাদের যোগ্য করে তুলবো তার জন্য একটি গবেষণা হওয়া উচিৎ।
সিবাই পরিচালনায় যেমন তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, এনজিও, শ্রমিক নেতা এবং আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এর চেয়ারম্যান ড. সায়মা ফেরদৌস বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গবেষণার ক্ষেত্রগুলোতে কোথায় ঘাটতি আছে তা আমাদের বুঝতে হবে।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ বলেন, যখন যে প্রতিষ্ঠানের যেমন চাহিদা থাকবে সেই লক্ষ্যে নিম্ন পর্যায় থেকে একদম উচ্চপর্যায় পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সভায় সিবাইয়ের নতুন বোর্ড সদস্য মনোনিত হন ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু। বর্তমানে রাজধানী অদূরে আশুলিয়ায় মেশিন অপারেটরদের দক্ষতা বাড়াতে পাইলট কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।
বোর্ড মিটিংএ জানানো হয়, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ও ট্রেনিং কার্যক্রম শুরু করবে সিবাই।