দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে অবশেষে। ১০ মাস পর আবার একত্রিত হচ্ছেন দেশের শীর্ষ নারী ক্রিকেটাররা। করোনা বিরতি কাটিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে অনুশীলন ক্যাম্প।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উইমেন্স উইং সূত্রে জানা গেছে ৩০ ক্রিকেটারকে ডাকা হবে ক্যাম্পের জন্য। মেয়েদের কোচিংস্টাফ নিয়োগ চূড়ান্ত না হওয়ায় বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কোচদের অধীনে সামনের মিশনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবেন সালমা-জাহানারা-রুমানারা।
মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আসার পর করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় মেয়েদের ক্রিকেট। স্থগিত হয়ে যায় বিশ্বকাপ বাছাইও। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মিরপুরসহ দেশের বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন করলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি টিম টাইগ্রেস। সিলেটের ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে মেয়েরা।
নভেম্বরে জাতীয় লিগ শুরুর ভাবনা থাকলেও সেটি হতে পারে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতে। জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। সালমা-রুমানাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার অপেক্ষাও খুব দীর্ঘ হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে মার্চ-এপ্রিলে মেয়েদের ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি।
জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়ে মাঠে ফেরার কথা ছিল রুমানা-সালমাদের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নামা হয়নি তাদের।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে মার্চে মেয়েদের প্রধান কোচ অঞ্জু জৈনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিসিবি। কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি বোর্ড। হেড কোচ, সহকারী কোচ, ট্রেনার, ফিজিও সবাই ছিলেন ভারতীয়।
দীর্ঘদিন ধরেই সালমা-রুমানাদের জন্য নতুন হেড কোচ খুঁজছে বিসিবি। প্রধান কোচের পরামর্শেই নিয়োগ দেয়া হবে কোচিং স্টাফের বাকিদের।