ভারতকে অলআউট করার খুব কাছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এক উইকেট থাকতে কোহলি সতীর্থদের ডেকে নেয়ার সেটি সম্ভব হয়নি। এরমাঝেই ২৪১ রানের লিড নিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে আড়াইশর কাছে রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেই দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই আউট সাদমান ও মুমিনুল। দলীয় রানের খাতা খোলার আগে সাদমান, আর কিছুপর অধিনায়ক মুমিনুল সাজঘরে হাঁটা দেন।
বাংলাদেশ-১০৬ ও ৫/২ (৩.৩), ভারত-৩৪৭/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
ইডেনে বিরাট কোহলি যেভাবে খুঁটি গেড়ে বসেছিলেন, ইন্দোর টেস্টের মায়াঙ্ক আগারওয়ালের মতো ডাবল সেঞ্চুরি হাতছানি দিচ্ছিল ভারত অধিনায়ককে। শেষপর্যন্ত তাকে ফেরাতে পেরেছে বাংলাদেশ। পরে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।
লিড পাওয়ার রাস্তাটা আগেই ঠিক করে রেখে গিয়েছিলেন কোহলি। আগেরদিনের ৩ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত যে ৩৪৭ রান তুলল তার এক-তৃতীয়াংশের বেশি এসেছে অধিনায়কের ব্যাটে। পথে ক্যারিয়ারের ২৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি তো করেছেনই, গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে করেছেন পাঁচ হাজার রান যা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুততম।
সারাদিনে একবারই ভুল করেছেন কোহলি, তাতেই থেমেছে ১৮ চারে ১৯৪ বলে করা তার ১৩৬ রানের ইনিংস। ইবাদত হোসেনকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন, দারুণ এক ক্যাচে ভারত অধিনায়ককে ফেরান তাইজুল।
কোহলি ফেরার পরপরই নতুন বল নেন মুমিনুল। তাতে কাজটা সহজ হয়ে যায় দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও আল-আমিন হোসেনের জন্য। শেষদিকের চার উইকেট নিজেরা ভাগাভাগি করেছেন দুজনে।
৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন ও ইবাদত হোসেন। ২ উইকেট রাহির। স্পিনার হিসেবে একমাত্র উইকেট তাইজুল ইসলামের। নাঈম হাসানের কনকাশন বদলি হিসেবে খেলছেন তিনি।