ফলাফল শেষ পর্যন্ত যাই হোক, নির্বাচনে মন্দ লোককে সমর্থন দেয়ার চেয়ে ভালো লোকের পাশে থেকে জয় প্রত্যাশা করেন সমাজের সচেতন অংশ। সমাজের তেমনি একজন ভাল মানুষ অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। যিনি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী! আর তাকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন যুগাচ্ছেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা!
না। বাস্তবে কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন না অভিনেতা মিলন, এমনকি সেই নির্বাচনে তাকে সমর্থন কিংবা তার প্রচারণাও চালাচ্ছেন না চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। মূলত এটি নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত নির্মিতব্য চলচ্চিত্র ‘গাঙচিল’-এর শুটিং দৃশ্য।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে ‘গাঙচিল’-এ ইকবাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। যে ছবিতে গ্রামের একজন সহজ সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ছবিতে সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস ও এনজিও কর্মী হিসেবে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা।
ছবির শুটিং দৃশ্যের এমন বেশকিছু স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন আনিসুর রহমান মিলন।
শুটিং লোকেশন থেকে ছবির পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নোয়াখালীতে পুরোদমে আমরা ‘গাঙচিল’-এর শুটিং করছি। গত ১৭ তারিখ শুরু করেছি ‘গাঙচিল’-এর শুটিং, চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগে থেকেই শুটিং করছেন ফেরদৌস, তারিক আনাম খান। যোগ দিয়েছেন পূর্ণিমা, আনিসুর রহমান মিলন। আগামী ২৫ তারিখ এখানে শুটিংয়ে অংশ নেবেন কলকাতার ঋতুপর্ণা। শুটিংয়ের এবারের পর্বে সিকোয়েন্সগুলো শেষ করছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। ২০১৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল উপন্যাস ‘গাঙচিল’। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট ইউনিয়নের গাঙচিল চরের নাম থেকেই উপন্যাসের নাম ‘গাঙচিল’ রাখা হয়েছে।
উপন্যাসটি নিয়ে ওবায়দুল কাদের আগেই জানিয়েছেন, এটি কোন কাল্পনিক গল্প নয়। নোয়াখালীর একটি চর ‘গাঙচিল’ কে উপজীব্য করে পুরো উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। ওখানকার মানুষের জীবনের নানা বিষয় ‘গাঙচিল’ উপন্যাসে উঠে এসেছে। ওই এলাকার মানুষকে যেভাবে ঝড়, বন্যা আর জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়, সেসব সংগ্রামই উপন্যাসের উঠে এসেছে।