চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা, হচ্ছে রোডম্যাপ

২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা দিয়ে এ অঞ্চলে বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটন বিকাশে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও পর্যটন সম্মেলনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। 

দুই দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও পর্যটন সম্মেলনের উদ্বোধনীতে মঙ্গলবার যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যটন বিকাশে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ঘোষণা, পর্যটন বোর্ড, ৬০টির বেশি দেশের জন্য অন-এ্যারাইভাল ভিসা, টুরিস্ট পুলিশ গড়ে তোলাসহ বর্তমান সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। 

এ ধরনের সম্মেলন পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে পরিচিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা এলাকার উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, বাংলায় বৌদ্ধবিহার ও স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন ঐতিহ্যবাহি। কুমিল্লার শালবন, আনন্দবিহার, পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার, রামুর রামকোট বিহার, উয়ারী-বটেশ্বরের মতো অনেক স্থান রয়েছে ইতিহাস প্রসিদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের প্রচার বিপননকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে আমরা ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ বা ভিসিট বাংলাদেশ ইয়ার ২০১৬ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি পর্য়টন শিল্পের প্রচার ও বিপননেও গুরুত্ব প্রদান করেছি। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের সহযোগিতায় ফলপ্রসু প্রচার ও বিপনন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দেশী বিদেশ পর্যটক আগমন ও এ খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই এ প্রচার কার্যক্রমের মূল্য উদ্দেশ্য।

’তিনি আরো বলেন, ‘এ অঞ্চলের বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভিত্তিক পর্যটন বিকাশে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশা করি এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সম্মানিত প্রতিনিধিরা পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে এ রোডম্যাপ বাস্তবায়নে পারস্পারিক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবেন। আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি এই সফরে বাংলাদেশকে আপনারা যেমন দেখলেন তা পর্যটন, স্বরাষ্ট্র বিভিন্ন সেক্টরে তুলে ধরবেন।