চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হুয়াওয়ে’কে নিষিদ্ধ করা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ানক নজির’

চীনা টেলিকম হুয়াওয়ে’কে নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভয়ানক নজির’ স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আইন কর্মকর্তা সং লিউপিং। 

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এরপর অন্য কোম্পানি ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হতে পারে।’

সম্প্রতি হুয়াওয়ে’কে যুক্তরাষ্ট্র এমনভাবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যে কোনো মার্কিন কোম্পানি লাইসেন্স ব্যতীত হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।

হুয়াওয়ে’কে নিষিদ্ধ করার পর কোম্পানিটি ওয়াংশিটনকে নানাভাবে মোকাবিলা করতে চাইছে।

সং লিউপিং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা একটি জাতির সমস্ত শক্তি একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছেন।’ এটি ইতিহাসের ভয়ানক পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলে, এর ফলে টেলিকম খাত আক্রান্ত হয়েছে। আগামীতে আপনার শিল্প, আপনার প্রতিষ্ঠান, আপনার ভোক্তা আক্রান্ত হবে।

নিরাপত্তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ে নিষিদ্ধ করা হলেও কোম্পানিটি বলছে, তাদের মোবাইল ফোনে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। সং লিউপিং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার হুয়াওয়ে’র নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এ মোবাইলে কোনো অস্ত্র নেই, কোনো ধোঁয়া নেই। সবই তাদের ফাটকাবাজি।’

নিরাপত্তার ঝুঁকিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। তারা অন্যান্য দেশকেও হুয়াওয়ে বর্জনের আহ্বান জানান। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিকার হুয়াওয়ে। যদিও হুয়াওয়ে বারবার বলে আসছে তারা চীন সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।