‘হিটলার নিজে কোনো হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়নি। সে কেবল পরিকল্পনা করেছিলো। হিটলারের মতো পরিকল্পনা করেছিলো আলবদর বাহিনীর নেতা নিজামী। তারা মুক্তিকামী মানুষদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো। অন্যরা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’ মতিউর রহমান নিজামীর বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে এমন উদাহরণ দিয়েছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সংবাদ সম্মেলনে এটর্নি জেনারেল আরো বলেন, নিজামী একজনকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলো, সেই আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই এই ঘটনার সাক্ষী দিয়েছেন। আরেকটি চার্জ, চার্জ নাম্বার চারে বলা হয়েছে, মেগা ঠাকুর নামে একজনের বাড়িতে ৯ জনকে হত্যা এবং দুই জনকে ধর্ষণ করার সময় নিজামী ছিলেন বলে সাক্ষ্য দিয়েছে।
চার্জ নাম্বার ছয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর যখন পাক হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে এবং একটি গ্রামে বহু লোককে মেরে ফেলে। সেখানেও সাক্ষীরা মতিউর রহমান নিজামীর কথা উল্লেখ করেছেন। ১৬ নাম্বার বুদ্ধিজীবী হত্যার চার্জ। শুধু বুদ্ধিজীবীর পরিবার নয়, সারাদেশের মানুষ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার চায়। সেটা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মধ্যে দিয়েই।
এতসব সাক্ষী উপস্থাপনের পর আদালত নিজামীর সরাসরি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার সাক্ষী চান। তখন রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, উনার একটি লেখা আছে আলবদর বাহিনীর উপর সেখানে তিনি যা লিখেছেন, যেভাবে আলবদরদের উৎসাহিত করেছেন, সেটাই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। সরাসরি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে হবে এমন নয়, তার পরিকল্পনাতে বহুলোক মারা গেলেও তিনি অপরাধী হবেন। এটি সাধারণ হত্যাকাণ্ডের বিচারের মতো বিচার না। এমনটাই হয়েছিলো হিটলারের ক্ষেত্রে। তার মতো আলবদর কর্মীদেরও পরিকল্পনা ছিলো মুক্তিকামীদের হত্যা করা।
আসামীরা স্বীকার করেছে আলবদর গঠিত হয়েছিলো জামায়াতে ইসলামের কর্মীদের দ্বারাই।
৮ ডিসেম্বর মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের উপর পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করবে আসামীপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল।