হংকংয়ে চীনের নতুন সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের পরিকল্পনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের দুই শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
ইউরোপ, এশিয়া, নর্থ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিরা চীনের পরিকল্পনাকে ‘হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন, আইনের শাসন এবং মৌলিক স্বাধীনতার উপর বড় আক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চীন নতুন এই আইনটির মাধ্যমে ওই অঞ্চলে কথিত দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটা হংকংয়ের স্বাধীনতার জন্য ‘মৃত্যুর ঘণ্টা’।
যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাও এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সম্মতির আগে ‘খসড়া সিদ্ধান্ত’ থেকে জানা যায়, ওই আইনের এমন একটি ধারা রয়েছে, যেখানে হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা ‘উন্নত করতে হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, প্রয়োজন হলে জাতীয় সুরক্ষা রক্ষা করতে হংকংয়ে চীনের কেন্দ্রীয় সুরক্ষা সংস্থা আইন অনুসারে নিরাপত্তা এজেন্সি নিয়োগ করতে পারবে।
এর অর্থ হংকংয়ের চীনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবস্থান পারবে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই আইনের মাধ্যমে চীন সেখানে বিক্ষোভরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে।
নতুন আইনের খসড়া প্রকাশের পর থেকেই হংকংয়ে বিক্ষোভ বেগবান হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়।