জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদিত হওয়ায় জাতীয় সংসদে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সংসদ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনায় উঠে আসে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, একই সাথে বাড়তে থাকা আয় বৈষম্য, ধনী-গরীবের সংখ্যা কমার বদলে উল্টো পথে চলার বিষয়টি। রাজনীতিকদের ক্ষমতাহীন করে ফেলার শঙ্কার কথাও বলেন কোনো কোনো সংসদ সদস্য।
আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের অর্জনগুলো মনে করিয়ে দেন সংসদ সদস্যরা। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো সেটাই হোক আজকের সংকল্প।
তবে উন্নয়নযাত্রায় অসংগতিগুলো তুলে ধরেন বিরোধীদলীয় এবং বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে এ আলোচনার সূচনা করেন।
বিষয়টি নিয়ে সংসদে একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে “উন্নয়ন বিস্ময়” বাংলাদেশের জন্ম, তারই রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীনৈতিক মুক্তির পথে অগ্রযাত্রার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশ যাতে খুব সমস্যায় না পড়ে তার নিশ্চয়তা দিয়েছে জাতিসংঘ।