প্রথমে পুরাতন একটি আসল স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে পরে আরো স্বর্ণমুদ্রা কমদামে বিক্রির লোভ দেখিয়ে এক নেতার ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রতারণার শিকার হওয়া ওই নেতা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা তৃণমূল নেতা শংকর অধিকারী বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন।
হিন্দুস্থান টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে এই অভিনব প্রতারণার খবর।
রানাঘাটের তৃণমূল নেতা শংকর অধিকারীর দাবি, দিন কয়েক আগে বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা গোপাল সর্দার নামে এক যুবক তাকে একটি পুরনো স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করেন। পরীক্ষা করে শংকরবাবু দেখেন মুদ্রাটি খাঁটি। এর পর ওই যুবক তার কাছে আরও ৯৫টি মুদ্রা রয়েছে বলে জানায়। খুবই কম দামে সেগুলি বিক্রি করে দেবে বলে প্রলোভন দেখায় সে। প্রথম মুদ্রাটি খাঁটি হওয়ায় বাকি মুদ্রাগুলিও কিনতে রাজি হয়ে যান তিনি। রফা হয় প্রায় ১২ লাখ টাকায়।
বুধবার এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে রানাঘাটের বড়বাজার এলাকায় শংকরবাবুর বাড়িতে আসেন সেই যুবক। ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রা তুলে দেন শংকরবাবুর কাছে। দেখতে আসলের মতো হলেও প্রতিটি স্বর্ণমুদ্রাই ছিল নকল। কিন্তু খালি চোখে তা ধরতে পারেননি শংকরবাবু। শংকরবাবুর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে তার বাড়ি থেকে চলে যান ২ যুবক। এর পর পরীক্ষা করে শংকরবাবু বুঝতে পারেন প্রতিটি মুদ্রাই ভুয়ো।
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝে রানাঘাট থানায় ওই ২ যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। শংকরবাবু জানিয়েছেন, প্রতারক তাঁর বাড়ি বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকায় বলে জানিয়েছিল। সেই সূত্র ধরে যুবকের খোঁজ শুরু করেছে রানাঘাট পুলিশ।