ছোঁয়া হয়নি চারশো’র মাইলফলক। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ‘টিম-টাইগার্স’ ব্যাটসম্যানদের অর্জন নেহায়েত কম নয়। ২০০৮’এ এই মাঠেই ২৫৯ রান ছিলো সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা টেস্ট ইনিংস। সাড়ে সাত বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ৩২৬ রান। টেস্ট র্যাঙ্কিং-এর এক নম্বর দল সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড।
সময়ের হিসাবেও প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ১১৬ ওভার ব্যাট করাটা দীর্ঘস্থায়ী ইনিংসের নতুন নজীর। এই টেস্টের প্রথম তিনদিনে নয় সেশনে মেজবানদেরই জয়জয়কার। ওয়ানডে’র সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট দলও নিজেদের তুলে আনছে যৌক্তিক উচ্চতায়।
পনেরো বছরে এটা বাংলাদেশের খেলা ৯২ নম্বর টেস্ট। এরমধ্যে জয় সাতটি, তেরো ড্র আর হার ৭১ ম্যাচে। ৯২ টেস্টে এই ম্যাচ নিয়ে ১৬ বার প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকেও ৬ বার হার বাঁচানো যায় নি, ড্র হয়েছে চারটি ম্যাচ।
যে পাঁচটি জয়, তার সবকটিই র্যাঙ্কিং’এর তলানির জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য তাই সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় ইনিংস আর ম্যাচের শেষ দু’দিন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে অসম্ভব নয় টেস্ট ক্রিকেটে সেরা জয়টি তুলে নেয়া।
ব্যাট-বলের পাশাপাশি মানসিক শক্তিতে টেস্টের দ্বিতীয় পর্বে সাউথ আফ্রিকাকে টেক্কা দিতে পারবে ‘টিম-টাইগার্স’? সেই সাফল্য উদযাপনের অপেক্ষায় টাইগার ভক্তকূল।